হোটেলের ডাস্টবিন থেকে সদ্যোজাত ভ্রূণ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি(১৮ মে) চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর প্রদেশের নয়ডায়। ওই হোটেলের ঘর থেকে এক দম্পতির ‘চেক আউট’-এর পর ঝাড়ুদার কক্ষ পরিষ্কার করতে এসে এমন দৃশ্য দেখতে পায়। এরপর বিষয়টি হোটেল ম্যানেজারের গোচরে আনে। শুরু হয় খোঁজ খবর। মোবাইল ফোনের নম্বর ধরে বারংবার চেষ্টা করা হলেও বিফল হন হোটেল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। খবর পেয়ে দ্রুত ছুঁটে আসে পুলিশ। ভ্রূণটি উদ্ধার করে নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছেন- ওই পুঁটুলিতে রাখা বস্তুটি চার মাসের পুরনো একটি কন্যা ভ্রূণের অংশ। ওই যুবক এক মহিলাকে নিয়ে এসে OYO নামের একটি আপস(Apps) নির্ভর চেন হোটেলে ভুয়ো পরিচয় পত্র দেখিয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। হোটেলের সি সি টি ভির ফুটেজ দেখে খোঁজ চলছে তার এবং তার সঙ্গিনীরও। ইতিমধ্যেই এমন ঘটনার পর Oyo হোটেলের বৈধতা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উঠে এল এক বড় প্রশ্ন চিহ্ন।
প্রসঙ্গত, দেশের অধিকাংশ OYO নামাঙ্কিত হোটেলগুলিতে স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা একত্রে ভাড়ায় কক্ষ নিতে পারবে। ১৮ বছরের ওপরে অবিবাহিত নারী-পুরুষেরা স্বাগত। স্থানীয় পরিচয় পত্র দিলেও তা গ্রহণযোগ্য। নাম গোপন রাখার শর্তে এক OYO নামের চেন হোটেলের ম্যানেজার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন- সুপ্রিম কোর্ট যেখানে পরকীয়াকে বৈধতা দিয়েছে সেখানে আমাদের কড়াকড়ির অধিকার কতটুকু! পাশাপাশি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘মাসলম্যান’-রা এসে সঙ্গীনি নিয়ে এলে আমাদের কি-ই বা করার ক্ষমতা রয়েছে? তবে, সাম্প্রতিক কালে নয়ডার ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষ। তারা নিয়মাবলীতে বাধাদান না করলেও পরিচয়পত্র গুলি খতিয়ে দেখে ‘রুম রেন্ট’-এর অধিকার দিচ্ছেন।