যুবক খুনের কিনারায় , গ্রেফতার নিহতের স্ত্রী সহ আরও ২ সূত্রের খবর ধৃতদের মঙ্গলবার শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়। শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুরে দিল্লিরোডের পাশে যুবকের মুন্ডহীন দেহ পাওয়া গিয়েছিল ২মে।
জানা যায়, সেই ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য আসে পুলিশের সামনে। যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়। যুবক উত্তর ২৪- পরগনার পানিহাটির সুভাষ রোডের বাসিন্দা শুভজ্যোতি বোস। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা চন্দনা চট্টপাধ্যায় ওরফে পূজার সঙ্গে গত ১৩ র্মাচ বিয়ে হয় শুভজ্যোতির।
প্রসঙ্গত, বিয়ের কয়েকদিন পর পূজা তার বান্ধবীর বাড়ি উত্তরপাড়ায় চলে আসে। মাঝেমধ্যে উত্তরপাড়ায় আসত শুভজ্যোতি। গত ১ মে পূজার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। ২ মে শ্রীরামপুরে তার মুন্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। মুন্ডহীন দেহ সনাক্ত করা কঠিন ছিল। তাই বিভিন্ন থানায় মৃতদেহের ছবি পাঠানো হয়। শুভজ্যোতির হাতের ট্যাটু সনাক্ত করে তার পরিবার। এর পরই পুলিশ মূল অভিযুক্ত সুবীর অধিকারীকে গ্রেফতার করে। উত্তরপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় পূজা ও শর্মিষ্ঠা অধিকারীকে। চন্দননগর পুলিশের ডি সি পি অরবিন্দ আনন্দ জানান ১ মে কোন্নগড়ে ডাকা হয় শুভজ্যোতিকে। সেখানে সুবীর ও শুভজ্যোতি এক সঙ্গে মদ খায় ধারসাড় কাছে একটি ইটভাটায়। এরপর চপাড় দিয়ে শুভজ্যোতির গলা কেটে দেয় সুবীর। মুন্ডছেদ করে গঙ্গায় ফেলে দেয়। মৃতদেহ প্লাস্টিকে মুড়ে টলিভ্যানে চাপিয়ে শ্রীরামপুরে দিল্লিরোডের ধারে সেইল কারখানার পাঁচিল ঘেষা নর্দমায় ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য পরদিন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খড়দা থানা থেকে খবর পেয়ে শ্রীরামপুর মর্গে এসে ট্যাটু দেখে ছেলেকে চিনতে পারেন শুভজ্যোতির বাবা। এরপরই পুলিশ শুভজ্যোতির স্ত্রী পূজা ও তার বান্ধবী শর্মিষ্ঠাকে আটক করে, তাদের জেরা করে এবং সুবীর অধিকারীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পূজার বান্ধবী শর্মিষ্ঠাকে কু -প্রস্তাব দেওয়াতেই খুনের পরিকল্পনা করে তিনজন। ধৃত তিনজনকে মঙ্গলবার শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।