এবার শ্রীলঙ্কার মতোই চেহারা নিল অন্ধ্রপ্রদেশের অমলপুরম শহর। অন্ধ্রপ্রদেশের পরিবহন মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল সেখানকার উত্তেজিত জনতা। সূত্রের খবর, সে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী পি বিশ্বরূপের বাড়িতে এদিন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে একদল বিক্ষোভকারী। শুধু পরিবহন মন্ত্রীর বাড়িই নয়, আগুন লাগানো হয়েছে কোনাসিমার বিধায়ক পোন্নাদা সতীশের বাড়িতেও।
খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের একটি গাড়ি এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাসেও এদিন আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এমনকি পুলিশদের দিকে পাথর ছুঁড়েছে বিক্ষোভকারীরা, এর জেরে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহতও হয়েছেন। এই উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের তরফ থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল এই ঘটনার মূল সূত্রপাত ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ব গোদাবরী জেলা ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল নতুন কোনাসিমা জেলা। এদিকে গত সপ্তাহে, রাজ্যের জগমোহন রেড্ডির সরকার কোনাসিমা জেলার নাম পরিবর্তন করে বি আর আম্বেদকর কোনাসিমা জেলা করার জন্য একটি প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এই নিয়েই শুরু হয় সমস্যা। বলা হয়েছিল যে, এই নামের বিষয়ে জনগণের মধ্যে যদি কোনও আপত্তি থেকে থাকে তা জানানোর জন্য আহ্বান করা হচ্ছে। কোনাসিমা সাধনা সমিতি এই প্রস্তাবিত নামের বিপক্ষে ছিল বলে জানা যায়। তাদের দাবি অনুযায়ী, জেলার নাম কোনাসিমাই রাখতে হবে, নাম পরিবর্তন করা যাবে না।
উল্লেখ্য, এদিনের এই ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তানেতি ভানিতা জানিয়েছেন যে, “এই ঘটনার জেরে মোট ২০ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। এই ঘটনার পেছনে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের মদত রয়েছে।” জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কোনাসিমা সাধনা সমিতির পক্ষ থেকে অমলপুরম শহরে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রতিবাদীরা তাদের বিরোধিতার কথা জানিয়ে জেলাশাসকের কাছে একটি স্মারক লিপি জমা দিতে চেয়েছিল।
উক্ত কাজে বাধা পেয়ে তারা হিংস্র হয়ে ওঠে। জেলাশাসকের কার্য্যালয়ের বাইরে তারা বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া শুরু করে বিক্ষোভকারীর দল। হামলা চালানো হয় রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী এবং বিধায়কের বাড়িতে। তবে, জানা গিয়েছে মন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সমস্ত সদস্যরাই অক্ষত আছেন। পুলিশ কর্মীরা তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে নিরাপদ এলাকায় নিয়ে গেছেন।