রাজ্য সরকারের দেওয়া অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ছাত্র ছাত্রীদের স্কলারশিপের কোটি কোটি টাকা লোপাটের আরেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল করণদিঘি থানার পুলিশ। গত ২৪ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের অভিযোগের ভিত্তিতে করণদিঘি থানার পুলিশ করণদিঘির সাবধান এলাকার বাড়ি থেকে মূলচক্রি মাহাতাবুদ্দিনের বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করে করণদিঘি থানার পুলিশ । মাহাতাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধারের পাশাপাশি বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার ভিত্তিতে পুলিশ কদিন আগেই মাহাতাবুদ্দিনের ভাই হায়াত আলীকে গ্রেফতার করে। আর এবারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিএসপি জানি আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানি আলমকে ১৪ দিনের পুলিশ কাষ্টডি চেয়ে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত মেলে বলে আদালত সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর রাজ্য সরকারের দেওয়া অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ছাত্র ছাত্রীদের স্কলারশিপের কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযুক্ত মাহাতাবুদ্দিনেরা গত চার বছর আগেও মাটির দেওয়ালের বাড়িতে বাস করতেন। তখন স্থানীয় দোকানদাররাও মাহাতাবুদ্দিনকে কোন সামগ্রী দিত চাইতেন না দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু চার বছর পর এখন তাদের বিশাল অবস্থা। মাহাতাবুদ্দিনের নামে কয়েকটি বাড়ির সাথে সাথে জমিজমা সহ বেশ কয়েকটি মার্কেটেও। অন্যদিকে চার চারটি ব্যাংক এ্যাকাউনন্টও রয়েছে তার। প্রশ্ন উঠেছে বছর পাঁচেক আগে যে কিনা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজে যুক্ত থাকা মাহাতাবুদ্দিন কি করে এত টাকা ও সম্পত্তির মালিক হলেন। কি বললেন এই বিষয়ে অভিযোগকারী রুস্তম আলী শুনব একবার –
প্রসঙ্গত, করণদিঘির অনগ্রসর সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্র ছাত্রীদের রাজ্য সরকারের দেওয়া স্কলারশিপের টাকা আত্মসাতের মূল চক্রি মাহাতাবুদ্দিনকে কদিন আগেই গ্রেফতার করে করণদিঘি থানার পুলিশ। করণদিঘির সাবধান এলাকার বাসিন্দা মাহাতাবুদ্দিন তার নিজের নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একাউন্ট বানিয়ে এসসি, এসটি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের ছাত্র ছাত্রীদের কাস্ট সার্টিফিকেট ব্যাবহার করে তাদের স্কলারশিপের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। তিনি এই কাজে একাই নন বলেও অভিযোগ ছিল। এখানে জড়িয়ে আছে তার তিন ভাই হায়াত আলী, হুমাউন কবির, সারজাহান আলী, জানি আলম সহ একাধিক ব্যাক্তি। এই ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই করণদিঘি থানার আইসি, বিডিও-কে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন স্থানীয় কিছু মানুষ। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসকের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। তার পরেই জেলা প্রশাসন পুলিশের কাছে মাহাতাবুদ্দিন সহ একাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তার পরেই করণদিঘি থানার পুলিশ মাহাতাবুদ্দিনকে তার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার জানি আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।