কেকে গান স্যালুট পেলেন, কালিকাপ্রসাদও পেয়েছিলেন। এ ঘটনায় মান বৃদ্ধি পেল পশ্চিমবঙ্গের। প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথকে (KK) গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা। শিল্পীর কাজ ও শিল্পকে সম্মান জানানোর জন্য রাজনীতি নয়, প্রয়োজন আন্তরিকতার । বুধবার কলকাতার রবীন্দ্রসদনে (Rabindra Sadan) তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। সূত্রের খবর, বুধবার (Wednesday) সকালেই মুম্বই থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছন তাঁর পরিবার।
প্রসঙ্গত, এসএসকেএমে (SSKM) তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্তের পর রবীন্দ্রসদনে নিয়ে গিয়ে দেওয়া হল গান স্যালুট। এদিন সকালেই বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী গান স্যালুট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কে কে (K K)-র স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে দমদম বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) এসে শ্রদ্ধা জানাব।’ শ্রদ্ধা জানানো হবে গান স্যালুটে। বাঁকুড়ার (Bankura) সভা থেকে বুধবার এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যু সততই পরিতাপের। তবে প্রয়াত শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টিতে রাজ্যের মর্যাদা বৃদ্ধি পেল।
মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট: সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র প্রয়াণে সকালেই শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বুধবার সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখেছিলেন, ‘বলিউডের প্লে ব্যাক গায়ক কে কে-র আকস্মিক ও অকালমৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, তাঁর শেষকৃত্য, পরিবারকে সহায়তা দিতে গতকাল রাত থেকেই কাজ করছেন আমার সহকর্মীরা। গভীর সমবেদনা জানাই। ট্যুইটে এমনটাই লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথ: গতকাল মাত্র ৫৩ বছর বয়সে কলকাতায় প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথ। সঙ্গীত মহলে তিনি কে কে নামেই পরিচিত ছিলেন। সকালে কলকাতায় আসেন প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর স্ত্রী ও ছেলে। রাজ্য সরকারের তরফে রবীন্দ্র সদনে গান স্যালুট দেওয়ার পর, বিকেলে শিল্পীর মরদেহ নিয়ে মুম্বই রওনা দেবেন পরিবারের সদস্যরা।
মাথায় রাখতে হবে, আমরা সেই রাজ্যের লোক যেখানে কংগ্রেসি মনোভাবাপন্ন হওয়ার জন্য মহানায়ক উত্তমকুমারের মরদেহকেও রবীন্দ্রসদনে জায়গা দেওয়া হয়নি, এবং তার মরদেহ দাহ না হওয়া অবধি সারা কলকাতা জুড়ে লোডশেডিং করে রাখা হয়েছিল।পরিবর্তন শুধু রাস্তা-ঘাট-আলো তে আসে নি, পরির্বতন এসেছে আন্তরিকতায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে, মূল্যবোধে। এই পরিবর্তন যারা দেখতে পান না, তারা কালের নিয়মেই মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যাবেন, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করেছেন এ রাজ্যে শিল্পী কলাকুশলী সহ সর্বস্তরের মানুষ।