Agnipath : ভুল বুঝেছেন তরুণরা, তাই বিক্ষোভ : নৌ সেনাপ্রধান

আরও পড়ুন

কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন প্রকল্প অগ্নিপথে (Agnipath) কারও কোনও ক্ষতি হবে না, আখেরে লাভবান-ই হবেন তরুণ প্রজন্ম। এমনটাই জানালেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। তাঁর কথায় – শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো ও ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এত বড় বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে দেশে। তিনি নিজেই অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে এক বছর কাজ করেছেন। এই প্রকল্পের রূপরেখা গঠনে (ব্লু প্রিন্ট) তাঁর সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। ভারতীয় বাহিনীতে এটি রূপান্তরকামী প্রকল্প।

নরেন্দ্র মোদী সরকার জানিয়েছিল, সেনাতেও চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।  ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath) প্রকল্পের আওতায় চার বছরের জন্য ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগ করা হবে। প্রথম বছর এই ‘অগ্নিবীর’রা পাবেন মাসে ৩০ হাজার টাকা।  চতুর্থ বছরে সেই টাকার অঙ্ক দাঁড়াবে ৪০ হাজারে।  আয়ের ৩০ শতাংশ তাঁরা জমাতে পারবেন। সম পরিমাণ টাকা দেবে সরকারও।  নয়া প্রকল্পে চার বছরের মেয়াদ শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ২৫ শতাংশকে স্থায়ী কর্মী হিসেবে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। বাকি ৭৫ শতাংশকে সেনাবাহিনীতে রাখা হবে না। সেই সময় তাঁদের দেওয়া হবে ১০-১১ লক্ষ টাকা ভাতা, যা হবে সম্পূর্ণ করমুক্ত। কিন্তু যাদের রাখা হবে না তারা সেনাবাহিনীর অবসরকালীন কোনও সুযোগসুবিধা পাবেন না। এমনকি নিজেদের প্রাক্তন সেনাকর্মীও বলতে পারবেন না। এই ঘোষণার পরেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। স্টেশনে স্টেশনে ভাঙচুর চলে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক রেলগাড়ি।

নৌসেনা প্রধান বলেছেন, ভারতীয় বাহিনীর তিন স্তম্ভ তথা সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা ও নৌসেনায় অনেক বেশি নিয়োগের জন্যই এই প্রকল্প। আগে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে যেখানে একজন চাকরি পেতেন, এখন সেখানে চারজন পাবেন। আর স্বল্পকালীন চাকরির মেয়াদের যে কথা বলা হচ্ছে তাতে কোনও ক্ষতি নেই। কারণ অবসর পেলেও সেই তরুণদের কাছে ভবিষ্যতে আবারও সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকবে। বরঞ্চ অভিজ্ঞতা নিয়েই তাঁরা যোগ দিতে পারবেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজের অভিজ্ঞতা থাকায় অন্য় সম্মানজনক কাজও তাঁরা করতে পারবেন। আগামীতে তরুণদের জন্য আরও অনেক সুযোগ এনে দেবে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

পাশাপাশি অ্য়াডমিরাল জানিয়েছেন, দেড় বছর অগ্নিপথের রূপরেখা গঠনের কাজ করেছেন তিনিও। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একাধিক বদল নিয়ে আসবে এই প্রকল্প। তরুণ অগ্নিবীর-দের সুযোগ দিতেই এই রূপান্তরকামী প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে।

অন্যদিকে সাধারণ মানুষের বক্তব্য-যেখানে করোনার কারনে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দা চলছে। কোনও দেশই স্থায়ী কর্মসংস্থান করতে পারছে না। সেক্ষেত্রে ”নেই মামা-র চাইতে কানা মামা-তো ভালো। চার বছরে একজন কর্মবীর পাবেন- ষোল লক্ষ চুয়াত্তর হাজার টাকা। এমন অর্থ আসে কোথ্বেকে।

তবে যারা এমন আন্দোলন করছেন তাদের বিষয়টি অপছন্দ হলে তারা যাবেন না (!) তারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছেন কেনও ? প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র।

ব্যুরো নিউজ, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close