অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ দিদিমণি-র বিরুদ্ধে ।পান্ডুয়া সোমরাগড়ি গ্রামের একটি অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন। গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন যাবত অভিযোগ করে আসছিলেন- সোমরাগড়ি গ্রামের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দেওয়া খাবারের গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ। এই নিয়ে বহুবার গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা দিদিদের কাছে। তারপরেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সাকিলা খাতুন কি বলেছেন শুনুন-
বুধবার ফের নিম্নমানের খাবার দেওয়াতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে বুধবার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান পান্ডুয়ার বিডিও স্বাতী চক্রবর্তী, সিডিপিও পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বীরাজ চৌধুরী-সহ আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যে খাবার বাচ্চাদের দেওয়া হ’ত তা খাওয়ার অযোগ্য। যেখানে অন্যান্য কেন্দ্রে খিচুড়ি, সবজি দেওয়া হয়, সেখানে এই কেন্দ্রে শুধু গলা ভাত এবং পাতলা জলের মত ঝোল দেওয়া হয়, কোন সবজি ছাড়াই। তাদের আরও অভিযোগ, সহায়িকা ও দিদিমণিরা সময়ে কেন্দ্রে আসেননা।
যদিও সহায়িকা ও দিদিমণিদের অভিযোগ, একে অপরের বিরুদ্ধে। সহায়িকার অভিযোগ তিনি ছ’মাস আগে এই কেন্দ্রে এসেছেন। তার আগে কি হয়েছে তার অজানা। দিদিমণি নিজের বাড়ি থেকে খাবার সামগ্রী নিয়ে আসেন, এবং নিজেই পাইল করে দেন, রান্না করি। অতি নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় বাচ্চাদের। তিনি নিজেই খাবার সরিয়ে করে নিয়ে যান। এবিষয়ে সহায়িকা জয়ব্রতী প্রামাণিক আর কি কি বলেছেন শোনাব-
যদিও নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিদিমণি। তার দাবি- তিনি নিজে খেয়ে বাচ্চাদের খাবার দেন। তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা চুরির অভিযোগ ডাহা মিথ্যে বলে জানিয়েছেন। এবিষয়ে রিনি ভট্টাচার্য আর কি কি বলেছেন শুনুন –
পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বীরাজ চৌধুরী বলেন-এই দিদিমণির বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ হয়েছিল। তাকে সতর্ক করা হয়েছে। আবারও তারই বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। গ্রামবাসীরা সঠিক অভিযোগ করছেন। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। যদিও বিডিও এই ব্যাপারে কোনও কথা বলতে চাননি। তিনি আর কি কি বলেছেন শোনাব-
হুগলির পাণ্ডুয়া থেকে দেবস্মিতা চক্রবর্তীর রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।