এক সদ্যজাত বাচ্চা পলিসাইথেমিয়া রোগে আক্রান্ত। শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত বার করে তার প্রাণ বাঁচালেন এক ডাক্তার। আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল সেই শিশু।
সূত্রের খবর, ১৭ দিন আগেই তমলুকের একটি নার্সিংহোমে জন্ম হয় তার। দু’দিনের পর থেকেই তার মধ্যে অনেক রকমের লক্ষণ দেখতে পান তার পরিবারের সদস্যরা। শ্বাসকষ্ট, হেঁচকি টানা, হাতের শিরা ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে। চিন্তায় পড়ে যান বাড়ির লোকেরা। সেই সময় তারা শিশুটিকে নিয়ে যান কোলাঘাটের চিকিৎসক ডাঃ প্রবীর ভৌমিকের কাছে। সেখানে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাকে। তাঁর পরামর্শমতো ওই শিশুর রক্তপরীক্ষা করে দেখা যায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ২৬। সাধারণত ১২ বয়সের নীচের শিশুদের দেহে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ১৬ থেকে ১৮ থাকে। তার অতিরিক্ত রক্তের পরিমান দেখে ডাক্তারবাবু বলেন, “এই রোগটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় পলিসাইথেমিয়া”।
‘পলিসাইথেমিয়া’ রোগের কথা শুনে আতঙ্কিত হন পরিবারের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, ডাঃ ভৌমিক তাদেরকে পরামর্শ দেন। তাঁর পরামর্শে শিশুটির চিকিৎসা শুরু করেন তাঁরা। ডাঃ প্রবীর ভৌমিক ও তাঁর টিম দেহ থেকে রক্ত বার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর এতেই অনেকটা উপকার হয় ওই শিশুর। চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুর দেহ থেকে অল্প অল্প করে রক্ত বার করা হয়েছে তাঁর কড়া তত্ত্বাবধানে। এরপরে তার দেহে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক মাত্রায় আসে। আপাতত এখন ওই শিশু সুস্থ আছে বলেই খবর। শিশুটির মা উর্মিলা গুবরী জানান, তিনি সন্তানের নাম রেখেছেন কৃষ্ণ। আজকেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবে তার ছেলে। এই খবর চাউর হতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে এমন সাফল্যের কৌতুহল বাড়ছে মানুষের।
ফোর্টিন টাইমলাইন, হাওড়া।