একটি স্কুলের শিক্ষিকাকে জুতো দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটির কথা চাউর হতেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় প্রধান শিক্ষককে। তাকে স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেই বিদ্যালয়েরই প্রধান শিক্ষক হাতে তার জুতো নিয়ে প্রহার করেন সেই বিদ্যালয়েরই ‘প্যারা টিচার’ সীমা দেবীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই মারধরের ভিডিওটি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। তারপর শুরু হয় প্রহার। তিনি অনেক ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সামনেই শিক্ষিকা সীমাদেবীকে প্রহার করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ফলে শিক্ষামহলে নিন্দনীয় আলোচনার বিষয় হয়েছেন সেই শিক্ষক অজিত কুমার বর্মা।
সূত্রের খবর, স্কুলের উপস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। সীমা দেবী যখন স্কুলে আসেন, তখন তাকে অজিতবাবু উপস্থিতির খাতায় সাক্ষর করতে নিষেধ করেন। তাদের গণ্ডগোলের সূত্রপাত শুরু হয় তখন থেকেই। অজিতবাবুর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, সকাল ৭ টা বেজে ৩৫ মিনিটে তিনি স্কুলে ঢোকেন। উপস্থিতির সাক্ষর করতে গিয়ে তিনি দেখেন,তার নামের পাশে হাজিরা খাতায় লাল কালি দিয়ে ‘ক্রস’ চিহ্ন আঁকা আছে। এটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই মারধর শুরু করেন তিনি। এখন পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে তাকে। পাশাপাশি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অজিতবাবু বলেছেন, সময়মতো হাজিরার কথা বলাতেই আমি পরিস্থিতির শিকার। আমি ওই শিক্ষিকাকে মোটেই জুতাপেটা করিনি, তবে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক ।
ব্যুরো নিউজ, লখনৌ, উত্তর প্রদেশ।