জল থেকে হাইড্রোজেন উৎপাদন করে গাড়ি চালানোর আবিষ্কারে ‘বেষ্ট থিসিস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাঁধমুড়ো গ্রামের তরুণ গবেষক। তাঁর নাম ড. সেখ রিয়াজউদ্দিন। তাঁর আশ্বাস এমন আবিষ্কারের ফলে জনসাধারণের সুবিধা হবে।
সূত্রের খবর, কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের করজগ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধমুড়ো গ্রামের বাসিন্দা ড. সেখ রিয়াজউদ্দিন। তাঁর বাবা সেখ বাগবুল ইসলাম, পেশায় কৃষক। তাঁর মা আমিনা বিবি। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ড. রিয়াজউদ্দিন। গ্রামের স্কুলে পড়াশোনার পর পঞ্চাননতলা উচ্চবিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েন। তারপর বর্ধমান আল আমিন মিশন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার পর আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্নাতকোত্তর করেন। এরপর তিনি সর্বভারতীয় পরীক্ষা নেট(NET) ও গেট(GATE) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এছাড়াও, পিএইচডি (PHD) করেছেন পঞ্জাবের মোহালি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট ওফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে।
ড. সেখ রিয়াজউদ্দিনের গবেষণার মূল বিষয় মূলত জলকে ভেঙে হাইড্রোজেন উৎপাদন করে সেই শক্তির মাধ্যমে মোটর চালানো। তিনি বলেন, ” আমরা সবাই জানি জলকে ভাঙলে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন উৎপাদন হয়। এই হাইড্রোজেনকে কাজে লাগিয়ে ‘হাইড্রোজেন ফুয়েল কার’ এখন বিদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। কিন্তু, জল ভাঙার কাজে যে ধরনের অনুঘটক ব্যবহার করতে হয় তা অত্যন্ত দামি মৌল। তাই ওই ধরনের দামি মৌল ব্যবহার করলে আখেরে লাভ কিছুই নেই। কিন্তু, টিন, নিকেল, কপার ইত্যাদির মতন সহজলভ্য ধাতু অনুঘটক হিসাবে ব্যবহার করেও জল ভেঙে হাইড্রোজেন ব্যবহার সম্ভব। এমনকি এই ‘হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল কার’-এ যে ব্যাটারি থাকবে তার চার্জ হবে সৌরশক্তির মাধ্যমে।” তাই বিদ্যুৎ শক্তির খরচও তাতে সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন এই গবেষক।
ড. রিয়াজুদ্দিনের এই যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তাঁকে পঞ্জাবের মোহালির ইনস্টিটিউট অফ ন্যানো সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান থেকে ‘বেস্ট থিসিস অ্যাওয়ার্ড’ হিসাবে গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। তাঁর এই গবেষণাপত্র পেয়েছে ‘আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি ন্যানো জার্নালে’ মনোনীত হয়েছে। ড. রিয়াজউদ্দিন স্বপ্ন সফল হন কিনা সেটাই এখন দেখার
ফোর্টিন টাইম লাইন, কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান।