মাদককে দূরে সরিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরেছেন, চাঁচলে খোলা মঞ্চে মাদকমুক্ত হওয়ার কাহিনী শোনালেন যুবক। কিছুদিন আগেও ওদের জীবনটা আর দশটা মানুষের মতো ছিল না। রাত থেকেই শুরুটা হয়েছিল। তারপর শুরু হয় দিনেও। শেষে দিনরাত। ড্রাগস না পেলে ওরা ঠিক থাকতে পারত না। নেশার তাগিদে অনৈতিক কাজ করতেও হাত কাঁপত না ওদের। কিন্তু রাতের শেষে ভোর হয়। একসময় এই যুবকরাও নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। সমাজের মূল স্রোতে ফেরার জন্য শুরু হয় তাদের সংগ্রাম। তিন মাস কাটাতে হয় ”রিহ্যাবিলিয়েশন” সেন্টারে। অবশেষে সূর্যের আলোয় আলোকিত তারা। মাদকের চোরা স্রোতে ডুবে যাওয়ার আগেই ভেসে উঠেছে সবাই। শুধু তাই নয়, বিশ্ব মাদকবিরোধী দিবসে তারা সংকল্প নিয়েছে,তারাও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হাত লাগাবে। পৃথিবীকে আগামীর জন্য বাসযোগ্য করে যাবে।
রবিবার আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবসে যোগ দিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন জনসমক্ষে। রবিবার মালদার চাঁচল থানা ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে মাদক বিরোধী কর্মসূচি নেওয়া হয়। সামিল ছিলেন শতাধিক পুলিশ কর্মীও। উপস্থিত ছিলেন চাঁচলের এসডিপিও শুভেন্দু মন্ডল, চাঁচল থানার আই.সি পুর্ণেন্দু কুন্ডু ও এ এস আই প্রদীপ সরকার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মিজানুর ইসলাম-সহ অসংখ্য গুণীজন।
রবিবার তারা হাতে মাদক বিরোধী প্লাকার্ড নিয়ে গোটা চাঁচল সদর পরিক্রমা করে। পরে নেতাজি মোড়ে সচেতনতার পথসভা করে অনুষ্ঠান শেষ করে। সেই পথসভা থেকে পুলিশ আধিকারিকেরা মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে সংকল্প নেন। মাদকের নেশা যে সর্বনাশা তার ভুল বুঝতে পেরেছে চাঁচলের বেশ কয়েকজন যুবক। তারা পথসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই অন্ধকার জীবন থেকে বেরিয়ে কিভাবে সূর্যের মুখ দেখলেন তার অভিজ্ঞতার কথা সকলের সামনে তুলে ধরলেন। এখন সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে না সে কথাও জানিয়েছে তারা। নিজেরা স্বচ্ছ পেশায় যুক্ত হয়ে সুখেই ঘরসংসার করছেন।
ফোর্টিন টাইমলাইন, চাঁচল, মালদা।