ছিনতাইয়ের দু’সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও ধরা পড়েনি দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে ফের থানার দারস্থ অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তথা নির্মাণ ব্যবসায়ী মহম্মদ আনোয়ারুল হক। গত ১৬ জুন চাঁচল সদরের পি.ডব্লু.ডি অফিসের কাছে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। সোমবার থানায় এসে ওই প্রাক্তণ শিক্ষক দাবি করেন, তাকে ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমকে জানাতে বারণ করেছিল পুলিশ। কিন্তু এতদিন হয়ে গেলেও পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে মাথা লাগায়নি। পুলিশি ভূমিকার প্রতিবাদে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই শিক্ষক। ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, জুন মাসের ১৬ তারিখে চাঁচলের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে পি.ডব্লু.ডি অফিসের কাছে নিজের দোকানে আসেন ওই শিক্ষক তথা ব্যবসায়ী। ব্যাগ রেখে দোকানের সুটার শাটার খোলার সময় দুর্বৃত্তরা মোটরবাইকে এসে প্রায় দু’লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। সমস্ত ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরাও পড়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চাঁচল থানায় সিসিটিভি ফুটেজ-সহ লিখিত অভিযোগ জানান সত্তরোর্ধ ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তথা ব্যবসায়ী মনোয়ারুল।
ওই শিক্ষক জানান, “আমার ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানিয়েছিলাম গত মাসে। এখনও পুলিশ তার কিনারা করতে পারেনি। বৃদ্ধ বয়সে থানায় আর আসতে পারছিনা। তার ছেলে ঢাকায় পড়াশোনা করে। পড়াশোনার টাকাও দিতে পাড়ছি না”।
গত মাসেই চাঁচল সদরের নিরাপত্তা জোড়দার করতে এলাকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ব্যবসায়ীদের তরফে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। ঘটা করে সিসিটিভি কন্ট্রোলরুমের উদ্ধোধন করেছিলেন মালদা রেঞ্জের ডিআইজি অলোক রাজোরিয়া। তারপরেও প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁচল সদরে ঘটছে দুঃসাহসিক ছিনতাই। সিসিটিভির ফুটেজ থাকা সত্বেও ঘটনার কিনারা করতে পুলিশ কেনও ব্যর্থ প্রশ্ন তুলছেন চাঁচলবাসী। ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপান-উতোর।
যদিও চাঁচলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মন্ডল বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে দুষ্কৃতীরা দ্রুত পুলিশের জালে ধরা পড়বে”।
ফোর্টিন টাইমলাইন, চাঁচল, মালদা।