শনিবার মাঝরাতে পাঁচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন এক ব্যক্তি। হঠাৎই ওই মানুষটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়তে গেলেন কেন?
সূত্রের খবর, ওই অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তিটির নাম হাফিজুল মোল্লা। উত্তর ২৪ পরগণার হাসনাবাদের বাসিন্দা তিনি। সারা রাত তাঁর বাড়ির মধ্যেই ছিলেন ওই ব্যক্তিটি। বিষয়টি রবিবার সকালে চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। এঘটনার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তাব্যবস্থার দৈনদশাই প্রকট হয়ে উঠল। তবে কি কোনও বড়-সড় দুর্ঘটনা ঘটানোর জন্যেই রাতভর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কাটিয়েছিলেন হাফিজুল?
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অন্দর মহলে প্রবেশ করে সেই ব্যক্তি। পুনরায় বেরোনোর সুযোগ না পেয়ে সেই বাড়িতেই রাত কাটান তিনি। সকালবেলায় তাকে দেখতে পান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিদের বিষয়টি জানান তারা। ঘটনাস্থলে পৌছে তারা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৮ ধারায় কাউকে আঘাত বা হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও বাড়িতে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট থানার পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটায় নানারকমের জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। কিভাবে মাঝ রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকলেন সেই ব্যক্তি? সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরাই বা কি করছিলেন? উঠছে অসংখ্য প্রশ্ন। সোমবার অভিযুক্ত হাফিজুলকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন সরকারি আইনজীবীরা। ১১ জুলাই পর্যন্ত ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের অভিযোগ, অভিযুক্তর কাছ থেকে একটি লোহার রড উদ্ধার হয়েছে। ফলে তার হামলার উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও হাফিজুল বিনা অনুমতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নবান্নতে। সেই সময়ও তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সূত্রের খবর, হাফিজুল মোল্লা স্বীকার করেছেন, কালীঘাটের পটুয়াপাড়া হয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অন্দরে ঢোকার চেষ্টা করেন হাফিজুল। মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর দাদার ঘরের পাশ দিয়ে গার্ডরেল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়েন তিনি। রাতভর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ির পিছনে লুকিয়ে ছিলেন তিনি বলে তদন্তকারী অফিসারদের জানিয়েছেন বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হাফিজুল মোল্লা। তবে কি মুখ্যমন্ত্রীর প্রাণের ভয় রয়েছে? উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।
ফোর্টিন টাইমলাইন, কলকাতা।