চিকিসার গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদা জেলার চাঁচল শহরে।কুড়ি বছর বয়সের মৃত ওই প্রসূতির নাম সায়েনা ইয়াসমিন। চাঁচল দক্ষিণ শাহারের বাসিন্দা তিনি।
বেসরকারি নার্সিং হোম ও সরকারি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে উত্তাল মৃত প্রসূতির পরিবার। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁচল হাসপাতাল মোড়ে একটি বেসরকারি নার্সিং হোমের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা । তাদের আরও অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতিতে নবজাতকের পরিস্থিতিও আশঙ্কাজনক। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে তার। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আক্তার হোসেন। তিনি চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক।
পরিবার সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১২ তারিখে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তথা বিএমওএইচ আখতার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওই আসন্ন প্রসবা মহিলা।তারপর ওই চিকিৎসক প্রসূতিকে হাসপাতালের বদলে বেসরকারি নার্সিংহোমে চুক্তি করে অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ।চিকিৎসকের কথামতো প্রসূতির পরিবার চাঁচল হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। বুধবার ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচার করিয়ে নবজাতকহিসেবে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।অস্ত্রপচোরের পরেই দীর্ঘক্ষণ যাবৎ রক্তক্ষরণ চলতে থাকে প্রসূতির। তড়িঘড়ি চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ মালদায় রেফার করেন।কিন্তু মালদা সদরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মৃত্যুর কাছে হার মানেন ওই মহিলা।
ওই মহিলার মৃত্যুর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছুটে আসে চাঁচল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। বিশৃঙ্খলা রুখতে ঘটনায় মৃতার চার জন পরিবারের সদস্যদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গোটা ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চাঁচল থানা-সহ রাজ্য ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের লিখিত অভিযোগ জানাবে মৃতার পরিবার বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ফোর্টিন টাইমলাইন, চাঁচল, মালদা।