ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট তাদের লজিস্টিক হাব খুলতে চলেছে রাজ্যে। অতিমারির আগেই তারা এই কথা জানিয়েছিল। যদিও এই প্রকল্পের অগ্রগতি কিছুটা থমকে গিয়েছিল করোনার প্রকোপে, বর্তমানে অবশ্য এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই চালু হতে পারে এই লজিস্টিক হাব।
সূত্রের খবর, বছর চারেক আগে এ রাজ্যের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র আমেরিকার বহুজাতিক খুচরো বিক্রেতা ওয়ালমার্টের অধীন এই সংস্থাটির লজিস্টিক হাব তৈরির প্রস্তাবের কথা জানিয়েছিলেন। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ৯০০ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব দিয়েছিল তারা। হাবটি তৈরির কথা ছিল হরিণঘাটায়। তারা জানিয়েছিল, প্রকল্পটি আরম্ভ হলে ১০ হাজার কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করে দেবে।
অর্থমন্ত্রী অমিত বাবু সেই সময় আশা প্রকাশ করেছিলেন, হরিণঘাটার ১০০ একর জমিতে ২০২০ সালের মধ্যে এই হাবটি চালু করে ফেলবেন।
এদিকে জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে রাজ্যে। সেই সম্মেলনের আগেই হরিণঘাটার কেন্দ্রটির উদ্বোধন হবে নাকি ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটির উদ্বোধন করবেন কি না , তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। এসম্পর্কে ফ্লিপকার্টও তেমন কিছু জানায়নি।
সম্প্রতি ফ্লিপকার্ট তাদের মুদিখানা পণ্যের তৃতীয় ফুলফিলমেন্ট সেন্টার চালু করেছে আমতায়। জানা যাচ্ছে, লজিস্টিক হাবটি ওই সেন্টারের তুলনায় আকারে বেশ বড় হবে। ওই হাবে বিভিন্ন রকমের পণ্যের জন্য নানান ঘর, আলাদা করে একাধিক গুদাম ঘর এবং জোগান কেন্দ্রও তৈরি হওয়ার কথা আছে। শিল্পমহল
সূত্রে খবর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাজারে ব্যবসার আর বিস্তার ঘটানোর ক্ষেত্রে ফ্লিপকার্টের কাছে হরিণঘাটার এই কেন্দ্রটি একটি বিরাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।