বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য তুলে নেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ১৭৭টিরও বেশি বাস। ১৮ জানুয়ারি বিকেলের পর থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় সরকারি যাত্রী পরিষেবা কার্যত কী চেহারা নেবে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর- আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ারে কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার থেকে উপভোক্তাদের উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে। প্রশাসনের তরফেই নিগমের কাছে ২০০টির বেশি বাস চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক রেখেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের জন্য বাস দেব।’’ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম সূত্রে খবর, বর্তমানে নিগমের হাতে ৭৫০টির মতো বাস রয়েছে। যার মধ্যে ৬৫০টির মতো বাস নিয়মিত চলাচল করে। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে ২০০টির মতো বাস চলে। ওই ২০০টির মধ্যে ১৭৭টি বাস তুলে নেওয়া হবে সেটা কী করে সম্ভব, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। এছাড়া, সরকারি বাসের সঙ্গে হিসেব কষেই বেসরকারি বাস চলে। সেখানে বেসরকারি বাসে ভিড় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। কিন্তু তাতেও সমস্যা মিটবে না। বাসের অভাবে অনেকেরই কাজকর্মে সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারন, অধিকাংস যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে এখনও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের উপরে মানুষ অনেকটাই নির্ভরশীল। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের যেখানে প্রধান কর্তব্য যাত্রী পরিষেবা দেওয়া, সে কথা তারা ভুলে গিয়েছে বলে যাত্রী সাধারণের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিরোধীরাও সরব হয়েছেন। বিজেপি-র কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘এখন আর দলীয় অনুষ্ঠানে তৃণমূল লোক পাচ্ছে না। এজন্য সরকারি কর্মসূচির নাম করে সরকারি খরচে এভাবে লোক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ”মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন, সরকারি পরিষেবা দেবেন কিন্তু যাত্রীদের পরিষেবা নিয়ে ছেলেখেলা এটা কিন্তু কাম্য নয়”। তবে প্রশাসনের সূত্রে খবর- যাত্রী-স্বাচ্ছন্দে কোন ত্রুটি হবে না । তবে আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে রাজ্যবাসী উন্মুখ হয়ে আছেন।
ফোর্টিন টাইমলাইন, কোচবিহার।