দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ে গিয়ে স্বপ্নের উড়ান ভরেছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। দিল্লির এই ভূমিপুত্রের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। এরই মাঝে আর এক বিষাদের খবর এল। মাত্র ২২ বছর বয়সেই নিভে গেল আর এক উঠতি সংগীতশিল্পীর জীবন। বুধবার প্রয়াত হলেন দিল্লির স্বতন্ত্র সংগীতশিল্পী শেইল সাগর (Sheil Sagar)। তাঁর মৃত্যুর কারণ যদিও স্পষ্ট নয় এখনও। সদ্যপ্রয়াত কেকে-র মৃত্যুশোকে বিহ্বল দেশবাসী, ফের শেইল সাগর।
উল্লেখ্য, এত কম বয়সেই শেইল সাগর নতুন প্রজন্মের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কারও। তাঁর প্রথম অ্যাকোয়েস্টিক সিঙ্গল থেকে সকলের নজরে আসেন তিনি। ২০২১-এ তাঁর প্রথম সিঙ্গল ‘ইফ আই ট্রাইড’ (If I tried)-এর হাত ধরেই খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। এই গান রিলিজের পর আরও তিনটে সিঙ্গলস রিলিজ করেন তিনি গত বছর, ‘বিফোর ইট গোজ’, ‘স্টিল’, ‘মিস্টার মোবাইল ম্যান লাইভ’। তাঁর অন্যতম সেরা ‘মিস্টার মোবাইল ম্যান লাইভ’ গানটি রেকর্ড করা হয় গুরুগ্রামের পিয়ানো ম্যান জ্যাজ ক্লাবে।
শেইলের মন মাতানো সুরেলা কণ্ঠ, তাঁর ইংরেজি উচ্চারণ সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে এক আলাদা জায়গা করে নিয়েছিল। গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি পিয়ানো, গিটার, স্যাক্সোফোন বাজানোতেও বেশ দক্ষ ছিলেন। শুধু তাই নয়, এই তরুণ হংসরাজ কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন। এমন একটা তরতাজা প্রাণের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীত জগতে। যেন এক মৃত্যুমিছিল চলছে সঙ্গীতের দুনিয়ায়।
বুধবার শেইল সাগরের মৃত্যুসংবাদ শোনার পর তাঁর এক বন্ধু ট্যুইট করে জানান, “আজ ভীষণ মনখারাপের দিন। প্রথমে কেকে, এবং তারপর এই উদীয়মান সঙ্গীতশিল্পী যিনি আমার প্রিয় গান ‘উইকেড গেমস’-এর পরিবেশনায় আমাদের বিস্মিত করেছিলেন। শান্তিতে ঘুমোও শেইল।” তাঁর এক ভক্ত ট্যুইট করে লেখেন, “শেইলকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না। একবারই তাঁর শো উপভোগ করার সুযোগ হয়েছিল আমার। তাতেই তাঁর সঙ্গে খুব অল্প সময়ের জন্য আলাপ করতে পেরেছিলাম। তিনি যেভাবে সঙ্গীতকে নিয়ে এগোচ্ছিলেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা এক রত্নকে হারালাম। দয়া করে এমন উঠতি স্বাধীন শিল্পীদের সমর্থন করা শুরু করুন, তাঁদের গান শুনুন। ভালো থেকো শেইল সাগর।”
প্রসঙ্গত, শুধু স্পটিফাইতে শেইলের প্রায় ৪০,০০০-এরও বেশি স্ট্রিম ছিল।