পল্লবী দে-র রহস্য মৃত্যুর পর এবার দমদমের নাগেরবাজারের অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের রহস্যজনক মৃত্যু। নাগেরবাজারের রামগড় কলোনিতে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বিদিশা। সেই বাড়িতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এটা কি আত্মহত্যা না খুন? আত্মহত্যা হলেও কিসের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছেনিলেন বিদিশা? ঘটনাটির সত্যতা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একজন বিদিশার সঙ্গে কিছু ভুল হয়েছে সন্দেহ করার পরে স্থানীয় পুলিশকে ফোন করেছিলেন। পুলিশ সেই খবর পেয়ে বিদিশার অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছয়। সেখানে দরজা বন্ধ অবস্থায় তাঁরা দেখতে পেলে দরজা ভেঙে দেয়। দরজা ভেঙে তাঁরা ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় বিদিশার মৃত দেহ দেখতে পায়। প্রসঙ্গত, পুলিশ সেই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে। এতে বিদিশা তার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি বলে অভিযোগ।
বিদিশা চরম হতাশায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। তাঁর আত্মহত্যার সঙ্গে কি তবে তাঁর প্রেমের সম্পর্কও জড়িত ছিল? নাগেরবাজারে মডেল ও অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের হাতে এসেছে নতুন তথ্য। জানা গেছে, মৃত্যুর দিন ভোর অবধি অনলাইন ছিলেন বিদিশা। তাঁর খাটের তলা থেকে মিলেছে দুটি মোবাইল ফোন। সেই ফোন দুটি ঘাঁটাঘাঁটি করে বিদিশার সঙ্গে কার কার যোগাযোগ ছিল, মৃত্যুর দিন তিনি কাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সেসব জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বিদিশা যে জিমে ওয়ার্কআউট করতেন সেখানকারই জিম ট্রেনারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। হোয়াটসঅ্য়াপে ছেলেটিকে ভালবাসার কথাও লিখেছিলেন বিদিশা। অনুমান করা হয়, তাদের এই সম্পর্কে ধীরে ধীরে ভাঙ্গন ধরতে শুরু করেছিল। বিদিশার বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসা করেও জানা গেছে, বিদিশার প্রেমিক ওই জিম ট্রেনার নাকি অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সেটা জানতে পেরেই ভেঙে পড়েন বিদিশা। কেরিয়ারে অনিশ্চয়তা, কাজ না পাওয়ার হতাশা তো ছিলই, তাঁর মধ্য়ে প্রেমের সম্পর্কে ভাঙন আরও বেশি অবসাদগ্রস্ত করে তুলেছিল বিদিশাকে। তাঁর মৃত্যুর জন্য এই ত্রিকোণ প্রেমই দায়ী কিনা তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
বিদিশার বাবা-মা ইতিমধ্যে নাগেরবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং এটি এখন একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে যা আজ পরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।