সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২‘। গত ৬ মে শুক্রবার ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস’ ছবির মুক্তি পাওয়ার পর পরই সিনেমাহলগুলিতে উপচে পড়েছে দর্শকদের ভিড়। উল্লেখ্য, গত সোমবার ছিল ছবির প্রিমিয়ার৷ সূত্রের খবর, ছবির প্রিমিয়ারের পরেই মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের সমস্ত পেজের কমেন্ট সেকশন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার কারণ, মার্ভেলের পেজে যাতে ছবি সংক্রান্ত কোনওরকম আলোচনা না হয়, সেইজন্যেই এমন সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, মার্ভেলের বিরাট ফ্যানবেস রয়েছে আমাদের দেশে৷ শুধু দেশই নয়, আমাদের বাংলাতেও মার্ভেল কমিক্স থেকে শুরু করে ফিল্ম সবেরই বিরাট ফ্যান রয়েছে। ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’ ছবি মুক্তির পরই কলকাতা শহরের একাধিক সিনেমাহলগুলিতে শো রীতিমতো হাউজফুল। টু-ডি, থ্রি-ডি সমস্ত হলেই নজর কাড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বলা যায়, বাংলা সহ সারা দেশ জুড়ে সিনেমার আগাম টিকিট বুকিংয়ের নিরিখে ২০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে এই ছবি। জানা গিয়েছে, আগাম টিকিট বুকিংয়ের নিরিখে সারা বিশ্বে ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এসে গিয়েছে এই ছবির মুক্তির পর।
ম্যাজিকাল এবং মিস্টিক্যাল বিপদের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছেন ডক্টর স্ট্রেঞ্জ হিসেবে খ্যাত বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এক সময় তিনি আমাদের বাংলাতেই চাকরি করতেন। বেনেডিক্ট জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ভারত তথা বাংলার সম্পর্ক বহুদিনের। অনেক ছোটতে ভারতে এসেছিলেন তিনি এবং এখানকার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি জগৎ মুগ্ধ করেছিল তাঁকে। তিনি জানান, “আমি তখন বেশ ছোট, কেবল স্কুল পাশ করেছি। হঠাৎই আমার মাথায় চাপে যে, আমায় বিশ্ব ঘুরে দেখতে হবে। অনেক জানতে হবে, চিনতে হবে। সেই কারণে এক বছর পড়াশোনার থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম ব্যাগ গুছিয়ে।”
বেনেডিক্ট আরও বলেন, “বহু দেশ ঘুরে বেড়িয়েছি সেসময়। কিন্তু, ভারতে এসে সেখানকার প্রকৃতি, বৈচিত্র্যতা, সংস্কার দেখে আমার মধ্যে এক অন্যরকম ভালোলাগা তৈরি হয়। বিশেষত, দার্জিলিং আমায় খুব মুগ্ধ করেছিল। আমি কিছুদিন সেখানকার একটি টিবেটান মনাস্ট্রিতে পড়িয়েছি। প্রায় ৬ মাস দার্জিলিঙে কাটিয়েছিলাম সেসময়। ওখানকার শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ আমায় এখনও টানে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “সুযোগ পেলে আবারও আসতে চাই ভারতে। আমি চাই বলিউডের কোনও অভিনেতা মার্ভেলের সঙ্গে কাজ করুন, তাহলে আমি সেই সুযোগে ভারতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে থাকতে পারব। অভিনেতা শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করবার বিশেষ ইচ্ছে রয়েছে আমার। দুর্দান্ত অভিনয় করেন তিনি, আমি ওঁনার বহু সিনেমা দেখেছি। ভারতের মার্ভেল সুপারহিরো হিসেবে আমি শাহরুখকেই দেখতে চাই। মার্ভেলের ছবিতে বলিউডের একটু ছোঁয়া থাকুক, এটা আমি চাই। প্রয়োজনে সেখানে এক দুটো নাচ গান রাখা যেতেই পারে।”
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছে, ক্যাপ্টেন মার্ভেল, থর: রাগনার্ক এবং গার্ডিয়েন্স অফ দ্য গ্যালাক্সি ভলিউম ২- এর ব্যবসাকে অনায়াসে ছাপিয়ে যাবে মার্ভেলের এই ছবি। তবে, ‘স্পাইডার ম্যান নো ওয়ে হোম’-এর বক্স অফিস কালেকশনকে টেক্কা দিতে পারবে কিনা ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ২’, তা নিয়েই চর্চা চলছে এখন।