ছুটির দিন মানেই অলস দুপুর, রবিবার মানেই নিখাদ বিশ্রাম নেওয়ার উল্লেখযোগ্য অবলম্বন। রবিবাসরীয় দুপুরে অধিকাংশ পরিবারের সবাই নিজেদের খাওয়া-দাওয়া সেরে এদিনটিকে নিজেদের মত করে কাটান। নিছক রবিবারের দুপুরকে জমজমাট করে তুলতে ‘সানডে সাস্পেন্স‘ নিয়ে এল এক নয়া চমক।
সানডে সাসপেন্সে আবার নতুন আঙ্গিকে ফিরছেন-‘ফেলুদা’। কার্যত, এদিন দুপুর ১টা থেকেই রোমাঞ্চে ভরপুর এক একটি গল্পপাঠ শোনানো শুরু হয়ে গিয়েছে। মে মাস সত্যজিৎ রায়ের জন্ম মাসের জন্যে ‘বোম্বাইয়ের বোম্বেটে‘-র অডিও বুকের মাধ্যমে তাঁকে কুর্নিশ জানানো হবে এমনিতেই। রাত ১১ টা নাগাদ অডিও বুকটি পুনরায় সম্প্রচার করা হবে। কাহিনিগুলি রেডিও মির্চিতে সম্প্রচারের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলিতেও প্রিমিয়ার করা হবে বলেও খবর।
সানডে সাস্পেন্সের শ্রোতারা বহুদিন যাবৎ সত্যজিৎ রায়ের লেখা গল্প শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন। শ্রোতাদের মধ্যে অনেকে প্রশ্নও তুলেছিলেন, “সত্যজিৎ রায়ের গল্প শোনাবেন কবে?”। তাদের প্রশ্নের উত্তরের সাপেক্ষে রবিবার দুপুরেই তাদের ইচ্ছেপূরণ হল।
ফেলুদার বোম্বে অভিযানের গল্পকে ২০০৩ সালে সিলভার স্ক্রিনে ফুটিয়ে তুলেছিলেন সত্যজিৎ-পুত্র সন্দীপ রায়। সেক্ষেত্রে ফেলুদার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল সব্যসাচী চক্রবর্তীকে। তোপসের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পরমব্রত। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। জটায়ুর ভূমিকায় ছিলেন বিভূ ভট্টাচার্য এবং পুলক ঘোষালের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শিল্পী পরান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সানডে সাস্পেন্সের এই অডিও বুকের ক্ষেত্রে ফেলুদার ভাই অর্থাৎ তোপসের ভূমিকায় সংলাপ বলবেন আর.জে সোমক(RJ Somak)। জটায়ুর সংলাপ শোনা যাবে জগন্নাথ বসুর কণ্ঠে। তবে ফেলুদা এবং পুলক ঘোষালের চরিত্রের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন নেই। অর্থাৎ সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং পরান বন্দোপাধ্যায় এই দুই চরিত্রের ভূমিকায় সংলাপ পাঠ করবেন।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, “বোম্বাইয়ের বোম্বেটে’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর দু’দশক কেটে গিয়েছে। আমার আওয়াজও বদলেছে। তবে এই গল্পপাঠের ক্ষেত্রে সত্যজিৎ রায়ের ডায়ালগই পড়া হচ্ছে। এফেক্ট, পরিচালনা, অভিনয় সবটাই দুর্দান্ত হয়েছে। বাস্তবে ‘সানডে সাস্পেন্স’ যে সব বয়সের দর্শকদের হৃদয় করবে তা বলাই বাহুল্য।