বর্তমানে এক থেকে দেড় মাস ধরে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি অশোচনীয় হয়ে উঠেছে। শ্রীলঙ্কায় নানারকম রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সমস্যা চলছে। জানা গেছে, সরকার পক্ষের সমর্থক এবং বিরোধীদের সংঘর্ষের ফলে ন’জনের মৃত্যু এবং আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
কলম্বোর আদালত এই ঘটনার সম্পর্কে অবগত হলে, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে দেশ ছেড়ে যেতে মানা করা হয়। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারণ, বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হিংসার সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণেই কলোম্বার আদালতে এই রায় মাহিন্দা রাজাপাকসেকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধেই।
সূত্রের খবর, সোমবার এই ব্যাপক সংঘর্ষের ফলে বাড়ি থেকে পালিয়ে ত্রিঙ্কোমালি নৌসেনা ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন রাজাপাকসে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই কথা জানাজানি হতেই রাজাপাকসে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আসতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। আদালতের রায়ে জানানো হয়েছে,”মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং তাঁর পুত্র নমল-সহ আরও ১৫ জন আপাতত দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না”।
জানা গেছে, রাজাপাকসে বা তাঁর পরিবার যাতে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে কোনও মতোই যেতে না পারেন সেই কারণে বুধবারই বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে চেক পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছিল। কলম্বোর আকাশে অনেক হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেলে তাঁকে নিয়ে আবার জল্পনা শুরু হয় যায়। হেলিকপ্টার উড়তে দেখে রাজাপাকসের দেশ ছাড়া নিয়ে কথা রটেছে। কিন্তু, তাঁর জন্য আপাতত সেই পথ বন্ধ করেছে কলম্বোর আদালত।
উল্লেখ, শ্রীলঙ্কাবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে যাওয়ার ফলে সোমবার রাজাপাকসেদের পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ফলস্বরুপ, শোনা যাচ্ছিল পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত সেনা পাঠাতে পারে শ্রীলঙ্কায়। কিন্তু বুধবারই শ্রীলঙ্কার ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে ভারত যে শ্রীলঙ্কার গণতন্ত্র, স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে পুরোপুরি পাশে রয়েছে, তাও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।