সদ্য প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানখানের বেডরুমে গোপন ক্যামেরা বসাতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। বিষয় নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন আর দলের কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ,ইমরান ও বুশরার বেডরুমে স্পাই ক্যামেরা বসানোর জন্য এই কর্মচারীকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। অন্য একজন কর্মচারীকে ক্যামেরা লাগাতে দেখে ইমরান খানকে খবর দেন। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনারা তাকে ধরে ফেলেন। নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে ফেডারেল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
প্রসঙ্গত, ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটে যখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে এই কথিত হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে বেনিগালাকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। ইমরানের দল পিটিআই-এর অনেকেই সন্দেহ করছেন, তাদের নেতার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে।
ইমরানের দল পিটিআই-এর নেতা শাহবাজ গিল বলেছেন, ক্যামেরা বসানোর চেষ্টার বিষয়ে আমরা সব নিরাপত্তা সংস্থাকে জানিয়েছি। শাহবাজ সরকারও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। গিল একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, ইমরান খানের বাড়ি পরিষ্কার করার একজন কর্মীকে একটি স্পাই ক্যামেরা বসানোর জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছিল।এটা খুবই জঘন্য এবং দুর্ভাগ্যজনক। এ ধরনের লজ্জাজনক ঘটনা এড়ানো উচিত। গিল বলেছেন- গ্রেফতার কৃত কর্মচারী বেশ কয়েকটি তথ্য প্রকাশ করেছেন, তবে তিনি আপাতত বাকি অংশ প্রকাশ করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, ইমরান খানের জীবনের কোনও হুমকি নেই। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি যে নিরাপত্তা পেয়েছিলেন, সেই নিরাপত্তাই তাঁকে দেওয়া হয়েছে। এর আগে, ইমরান খানের ভাগ্নে হাসান নিয়াজি বলেছিলেন- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কিছু হলে তা পাকিস্তানের উপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে।