ন্যাটোতে যোগ দানের ইচ্ছা কসোভোর প্রধানমন্ত্রীর!

আরও পড়ুন

কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি NATO অর্থাৎ North Atlantic Treaty Organization এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ৩০ জন সদস্যের সামরিক জোট এবং ইইউ(EU)তে যোগদানের কুর্তির উদ্দেশ্য ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটো সদস্যতার জন্য আবেদন জমা দেওয়ার পরে আসে। ১৮ মে বুধবার আটলান্টিক কাউন্সিল আয়োজিত একটি ইভেন্টের সময় কুর্তি এই ঘোষণা দেন।

এর আগে ১৮ মে, অ্যালবিন কুর্তি ওয়াশিংটনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেশক জেক সুলিভান এবং ইউএসএআইডি(USAID) প্রধান সামান্থা পাওয়ার সহ মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়, আলবিন কুলবা বলেন, কসোভো সাধারণ মূল্যবোধের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর অংশীদারিত্ব জোরদার করতে ইচ্ছুক। কুর্তি আরও বলেন, কসোভো ইইউতে যোগদান এবং শান্তি কর্মসূচিতে আরও সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কসোভোর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি এটিকে ন্যাটো সদস্যপদ লাভের দিকে একটি “প্রথম পদক্ষেপ” বলে অভিহিত করেছেন। বৈঠকে তাঁরা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং এ অঞ্চলে রাশিয়ার ‘অব্যবস্থিত করার প্রচেষ্টা’ নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রসঙ্গত, বৈঠকে তাঁরা ইউক্রেনকে কসোভোর মানবিক সহায়তা প্রদান এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়েও আলোচনা করেন। উভয় পক্ষ পশ্চিম বলকানে স্থিতিশীলতার বিষয়েও মত বিনিময় করেছে। হোয়াইট হাউস দ্বারা প্রকাশিত বৈঠকের পাঠানুযায়ী, কসোভো এবং সার্বিয়ার মধ্যে একটি স্বাভাবিককরণ চুক্তিতে পৌঁছনোর জন্য সুলিভান ইইউ সুবিধাপূর্ণ সংলাপের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন তুলে ধরেন।

সুলিভান আফগান স্মরণার্থীদের জন্য কসোভো কর্তৃক প্রদত্ত সহায়তা এবং কসোভোতে তাদের অস্থায়ী বাসস্থানের জন্য কুর্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সুলিভান ছাড়াও আলবিন কুর্তি, এলিসা স্লটকিন এবং জিম ম্যাকগভর্নের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেছেন। তাঁর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল নিয়ে কুর্তি বলেছেন, এলিসা স্লটকিন কসোভা এবং ন্যাটোর মতো আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থায় যোগদানের আকাঙ্খার প্রতি “দ্ব্যর্থহীন সমর্থন” প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার ১৮ মে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড, সামরিক জোটে যোগদানের জন্য ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের কাছে তাদের আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দিয়েছে। স্টলটেনবার্গ ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের সামরিক জোটে যোগদানের অনুরোধকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমাদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি একটি ভালো দিন।” তিনি দুই নর্ডিক দেশের সিদ্ধান্তকে একটি “ঐতিহাসিক পদক্ষেপ” বলে অভিহিত করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে জোটটি এখন পরবর্তী পদক্ষেপগুলি বিবেচনা করবে। জেনস স্টলটেনবার্গ জোর দিয়েছিলেন যে সমস্ত মিত্রদের নিরাপত্তা স্বার্থকে “বিবেচনা করা” প্রয়োজন এবং জোর দিয়েছিলেন যে তারা সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবে এবং “দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছবে।”

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close