পেটে ব্যথা নিয়ে শৌচালয়ে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন এক যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী,
ইউনাইটেড কিংডমের(U.K.) এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যখন রাতে বার হওয়ার আগে শৌচালয়ে যান তখন তিনি পুরোপুরি হতবাক হয়ে পড়েন, কারণ, তিনি এক নবজাতক সন্তান প্রসব করেছেন ।সূত্রের খবর, তরুণীটির নাম জেস ডেভিস, তার এই বিস্ময়কর ডেলিভারির ঠিক পরের দিন ২০ বছর বয়সে পরিণত হন তিনি। এমনকি তিনি জানান, তার কোনও ধারনাই ছিল না, যে তিনি গর্ভবতী এবং তিনি প্রায় ধরেই নিয়েছিলেন যে তার পেটে ব্যথা তার ঋতুস্রাবের কারনে হচ্ছে ।
সূত্রের খবর, মিসেস ডেভিস ব্রিস্টলের ইতিহাস ও রাজনীতির ছাত্রী। তিনি বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার কোনও সুস্পষ্ট গর্ভাবস্থার লক্ষণ ছিল না এবং তার বেবি-র বাম্পও ছিল না। তিনি প্রকাশ করেছেন- তার মাসিক চক্র সবসময়ই অনিয়মিতই ছিল, তাই তিনি লক্ষ্য করেননি এর কোনরকম লক্ষণ । বর্তমানে তরুণীটি, ২০ বছর বয়সী ১১ জুন তার ছেলেকে পৃথিবীতে স্বাগত জানানোর পর তিনি যেনও মাতৃত্বে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। শিশুটির ওজন প্রায় ৩ কেজি। নতুন মা মিসেস ডেভিস বলেছেন , “যখন সে জন্মেছিল তখন এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল – আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আমি স্বপ্ন দেখছি”। “আমি বুঝতে পারিনি যে কি ঘটেছে যতক্ষণ না আমি তার কান্না শুনি,। তিনি যোগ করেছেন, “এটা হঠাৎ করেই আমাকে আঘাত করেছিল যে আমার সত্যিই বড় হওয়া দরকার। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং তার সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং বন্ধনে কিছুটা সময় লেগেছিল, কিন্তু এখন ঠিক আছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুনে তার তীব্র ব্যথা জেগে উঠেছিল। তখন তিনি ধরে নিয়েছিলেন যে এটি তার ঋতুচক্রের শুরু। তখন তিনি সবে হাঁটতে সক্ষম ছিলেন এমনকি তিনি বিছানায় শুতেও পারছিলেন না।”সেই রাতে আমার জন্মদিনের পরের দিন একটি’ হাউস পার্টি ‘করার কথা ছিল, তাই নিজেকে ভালো বোধ করার চেষ্টা করার জন্য আমি একবার স্নানও করেছিলাম, কিন্তু ব্যথা আরও খারাপ হতে থাকে,” তিনি বলেছিলেন। তারপরের ঘটনা একদম বিশ্বাস না করার মতোই যে তিনি এক নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন তা উপলব্ধি করাটা খুবই আশ্চর্যজনক ।”
এরপর তিনি কী করবেন কিছু বুজতে পারছিলেন না , কারণ মিসেস ডেভিস বাড়িতে একা ছিলেন, তারপরে তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু লিভ কিংকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তার কথা শুনে বুজতে পারেন তিনি যে লিভ কিং না আসার জন্য একটি বিস্তৃত অজুহাত টানছে, উপরন্তু মিসেস কিং তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্স কল করার পরামর্শ দেন এরপরেই মিসেস ডেভিস তার নবজাতক পুত্রের একটি ছবি পাঠান। ইতিমধ্যেই মিসেস ডেভিসকে তড়িঘড়ি প্রিন্সেস অ্যান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে শিশুটিকে একটি ইনকিউবেটরে রাখার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করা হয় । চিকিৎসক সূত্রের খবর- নবজাতক শিশুটি ৩৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছে। বর্তমানে মা ও শিশু এখন ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।