Washington : টাইটানিকের মতোই উদ্ধার টাইটানের ধ্বংসাবশেষ !

আরও পড়ুন

বৃহস্পতিবার আটলান্টিকের ১২ হাজার ফুট গভীর সমুদ্র থেকে উদ্ধার হয়েছে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ। গভীর জলের তলায় ডুব দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ২২ ফুটের সাবমেরিনটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ওই সাবমেরিনে থাকা ৫ যাত্রীও এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তবে টাইটানিকের মতোই কি টাইটানেরও এমন পরিণতি হল ? জলের তলায় সাবমেরিনটি কীভাবে ভেঙে গিয়েছে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন, রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ ৫ জন অভিযাত্রীকে নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনে গিয়েছিল টাইটান। সমুদ্রের উপরে থাকা সহযোগী জাহাজ ‘পোলার প্রিন্স’-কে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর সিগন্যাল পাঠানোর কথা ছিল টাইটানের। কিন্তু বেলা পৌণে ২টো নাগাদ এই সাবমেরিনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সময় অনুযায়ী টাইটান না ফেরায় আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে খবর পৌঁছয়। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও টাইটানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।

১৯ জুন, সোমবার আমেরিকা এবং কানাডার তরফে উদ্ধারকারী দল টাইটানের খোঁজে নামে সমুদ্রের গভীরে। সমুদ্রের ৪০০০ মিটার গভীরে শব্দ নিরীক্ষণ যন্ত্র পাঠানো হয়। সেই শব্দযন্ত্রের মাধ্যমে ৩০ মিনিট অন্তর বেশ কয়েকটি জোর শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। কোথা থেকে শব্দ আসছিল সেটি চিহ্নিত করে ২১ জুন দূরনিয়ন্ত্রিত একটি সমুদ্রযানকে জলের গভীরে পাঠানো হয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তিন দিন কেটে গিয়েছিল কিন্তু কোনও হদিস পাওয়া যায়নি টাইটানের। ২২ জুন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে বেজে ৪৮ মিনিটে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে মার্কিন সেনার তরফে জানানো হয়।

নৌসেনা এবং সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের মতে, যে জোরালো শব্দ চিহ্নিত করা গিয়েছিল, সেই সময়েই কিছু একটা ঘটেছিল টাইটানে। অনুমান, জলের প্রবল চাপে সাবমেরিনটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল। এই ধরনের সাবমেরিন কার্বন ফাইবার এবং টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়। যদি তাতে কোনও ত্রুটি থাকে বা কোনোভাবে চিড় ধরে তা হলে সেটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এভাবেই হয়তো ধ্বংস হয়ে যায় সাবমেরিনটি। জলের প্রবল চাপে কোনও মানুষেরই বেঁচে থাকার কথা নয়। পুরো ঘটনাটি তদন্ত চালাচ্ছে নৌসেনারা।

টাইমস ফোর্টিন ব্যুরো, ওয়াশিংটন।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close