শ্রীলঙ্কায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। শ্রীলঙ্কায় প্রথমবারের জন্য সাংসদও পুনর্নির্মাণ করা হয়। এমনই, অর্থনীতির অবনতির চরম পর্যায় রয়েছে এই দেশ। জানা গেছে, বর্তমানে পেট্রোল সরবরাহে অক্ষম হচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
সম্প্রতি, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে বিপর্যস্ত দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন রনিল বিক্রমাসিংহ।
সোমবার একটি সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেছেন, “অপ্রীতিকর এবং ভয়ঙ্কর তথ্যের মুখোমুখি হতে হবে। এই মুহূর্তে, আমাদের কাছে শুধুমাত্র এক দিনের জন্য পেট্রোল মজুত আছে। আগামী কয়েক মাস আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন মাস হবে,”।
গত ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে ডলার ৭.৫ বিলিয়ন থেকে, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ডলার ৭৫ মিলিয়ন প্রয়োজন। সেখানে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ পাওয়াও দুস্কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জ্বালানির অভাবের কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি হতে পারে। প্রায় দিনে ১৫ ঘন্টা পর্যন্তও বিদ্যুৎ থাকতে নাও পারে বলে জানিয়েছে সরকার।
বিক্রমাসিংহ আরও জানিয়েছেন, তিনি এখন বিদেশী সহায়তার পরিকল্পনা করেছেন। তাদের সাহায্যে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সকে বেসরকারীকরণ করবেন এবং ট্রেজারি বিল ইস্যুকে ৩ ট্রিলিয়ন থেকে ৪ ট্রিলিয়ন রুপি (ডলার ১১ .২৭ বিলিয়ন) বৃদ্ধি করার জন্য সাংসদীয় অনুমোদন চাইবেন।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শাসকের বিরুদ্ধে প্রধানত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেন শ্রীলঙ্কাবাসীরা। রাজাপাকসে যখন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন তখন তাঁর ছোট ভাই গোটাবায়া রাজাপাকসে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ হন।
দীর্ঘস্থায়ী বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি, ওষুধ, জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ফলস্বরূপ, হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।