গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী নামক এলাকা। কদিন আগে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হওয়ার জেরে পশ্চিম দিল্লির এলাকায় দখল বিরোধী অভিযান বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পরেও এদিন বুলডোজার দিয়ে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী এলাকার অবৈধ নির্মাণ ভাঙা শুরু করেছে প্রশাসন।
সূত্রের খবর, ওই এলাকার রাস্তায় ঠেলা থেকে শুরু করে একাধিক বস্তি সহ সমস্ত বুলডোজার দিয়ে দিয়ে ভাঙতে শুরু করা হয়। এই বেআইনি নির্মাণ উচ্ছেদের অভিযানে এদিন রাস্তায় নামে উত্তর দিল্লি পুর নিগম। পুলিশ ঘেরাও করে থাকা সত্ত্বেও এই ভাংচুর চলতে থাকে এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই, এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এলাকাবাসীদের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক উত্তেজনা। এবং সেই উত্তেজনা থেকে যেন সংঘর্ষের সৃষ্টি না হয় তার জন্য ওই এলাকায় কর্পোরেশনের তরফ থেকে একাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য, দিল্লি বিজেপির প্রধান আদেশ গুপ্ত মেয়রকে চিঠি দেওয়ার পর, সংঘর্ষে অভিযুক্তদের দ্বারা বেআইনি নির্মাণগুলি চিহ্নিত করতে এবং সেগুলো ভেঙে ফেলার জন্য অনুরোধ করার পর বিরোধী মহড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই উচ্ছেদ অভিযানের পূর্বে বিশেষ পুলিশ কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই এলাকাটি খতিয়ে দেখেন।
এদিন উত্তর দিল্লি পুর নিগমের মেয়র ইকবাল সিংহ জানান, “আমরা গোটা রাজধানী জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালাব। এর আগে বহু বার এই অভিযানের জন্য পুলিশের কাছে নিরাপত্তার অনুরোধ করেছিলাম আমরা। কিন্তু, আমাদের আক্ষেপ যে, সেই ব্যবস্থা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।” তাঁর মন্তব্যের পর পুলিশ কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক বলেছেন, “উত্তর দিল্লি পুর নিগমের এই উচ্ছেদ অভিযানের জন্য পুলিশের নিরাপত্তা সম্পূর্ণ ভাবে দেওয়া হবে। আইন শৃঙ্খলা যাতে সর্ব্দা বজায় থাকে, সেদিকে আমাদের কড়া নজর রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, শনিবার দিল্লিতে এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পর থেকেই পুলিশ জাহাঙ্গীরপুরীতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। সেদিনের ওই সংঘর্ষের ফলে ৮ জন পুলিশ সদস্য সহ আরও ৯ জন আহত হয়েছে। সেদিনের ওই সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে ৫ জনকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে৷