উত্তর কাশীতে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন পাঁচ বাঙালি পর্যটক। ট্রেকিং সেরে আর বাড়ি ফেরা হল না। তাঁরা যে গাড়িতে যাচ্ছিলেন, তার গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল। মারা গিয়েছেন ওই গাড়ির চালকও। গাড়ির মধ্যে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারটি ফেটে আগুন ধরে যায় গাড়িতে এবং ওই জ্বলন্ত অবস্থাতেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গড়িয়ে পড়ে এক খাদে। জানা গিয়েছে, ওই মৃত পাঁচ বাঙালি পর্যটকের মধ্যে দুজনের বাড়ি কলকাতার গড়িয়ায় এবং বাকি দুজনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার নৈহাটি শহরে, এবং আরেকজনের বাড়ি সোনারপুরে। জানা যায়, ওই পাঁচ জন পর্যটক নৈহাটির একটি ট্রেকিং ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
সূত্রের খবর, সোমবার অর্থাৎ ২৩ মে বিমানে উত্তর কাশী রওনা হন ওই পাঁচ পর্যটক। হরিদ্বার থেকে গঙ্গোত্রী হয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন তাঁরা। সেই ভেবেই একটি বোলেরো গাড়ি নিয়ে কেদারতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, মাঝ রাস্তায় ঘটে গেল চরম বিপত্তি। গঙ্গোত্রী মহা সড়কের কামান্দের কাছে একটি গর্তে পড়ে যায় যাত্রীসহ গাড়িটি। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উদ্ধারকারীদের দল। তারা দ্রুত উদ্ধার কার্য শুরু করে এবং মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, যেই রাস্তায় তাদের এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তার অবস্থা বেহাল৷ সিঙ্গল ওই রোডে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেননি গাড়ির চালক। বেশ দ্রুত গতিতেই ছুটছিল গাড়িটি। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে গড়িয়ার নরেন্দ্রপুরের বাদিন্দা মদন মোহন ভুঁইয়া এবং তাঁর স্ত্রী ঝুমুর ভুঁইয়া দুজনেই ছিলেন গ্রন্থাগারিক। তাঁদের ছেলে নীলেশ ভুঁইয়া রায়বেরিলিতে পাইলটের ট্রেনিং নিচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ এদিনের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের তিন জনেরই। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতদের পরিবারে। এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে বলে খবর। বাকি কারোর দেহই এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
অন্যদিকে, এদিন ভাইজাগ যাওয়ার পথে ওড়িশার দারিংবাড়িতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ছয় জন বাঙালি পর্যটক। জানা গিয়েছে, নিহতরা প্রত্যেকেই হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা৷ গাড়িতে থাকা আরও ৪৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ওড়িশার গঞ্জাম এবং কন্ধমল জেলার সীমান্তে কলিঙ্গ ঘাটের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারেই উলটে যায় যাত্রীবাহী বাসটি।