টেকনোলজিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। ভারতে সফল ভাবে হল 5G কল। খুব শীঘ্রই ভারত আরও দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে চলেছে। 5G-এর সফল পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। 5G পরিষেবার ট্রায়াল এতদিন ধরে চলছিল আইআইটি মাদ্রাজে। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরেই দেশে 4G থেকে 5G-তে আপগ্রেড করার জন্য চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, এদিন তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, “আইআইটি মাদ্রাজে সফল ভাবে 5G কল করা হয়েছে। এই সম্পূর্ণ এন্ড টু এন্ড নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে ভারতেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিকল্পনার ফল এই দেশীয় প্রযুক্তির 5G পরিষেবা। আগামী সপ্তাহেই 5G স্পেক্ট্রাম বিক্রির জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হতে পারে।”
২০০০ এর দশকে বেশিরভাগ মানুষই ব্যবহার করত 3G নেটওয়ার্ক। গত এক দশকে মানুষ পেয়েছে 4G-এর পরিষেবা। গতি এবং কভারেজ দুইয়ের মধ্যেই রয়েছে এক বিরাট পার্থক্য। এবার 4G এবং 5G-এর মধ্যেও লক্ষ্য করা যাবে এই বিরাট পার্থক্য। 5G-এর ফলে অবশ্যই ইন্টারনেটের গতি তুলনামূলক ভাবে বাড়বে। 4G-এর ক্ষেত্রে যেখানে 100Mbps পর্যন্ত গতি পাওয়া যায়, সেখানে 5G-এর ক্ষেত্রে তা হয়ে যাবে দ্বিগুণ অর্থাৎ Gbps-এ।
এখনও এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে 4G আসার পরেও নেটওয়ার্কের তেমন সুবিধা নেই। 5G-এর মাধ্যমে টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের নেটওয়ার্কের পরিসর বৃদ্ধি করার আরেকটি উপায় বের করতে পারে। তবে, সমস্ত শহরে এই পরিষেবা পৌঁছাতে বেশ কিছু সময় লাগবে। বিশেষ করে দেশের ছোট শহরগুলিতে এই পরিষেবা চালু হতে বেশ দেরিই আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 5G পরিষেবার বিষয়ে বলেন, এই পরিষেবা চালুর ফলে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, লজিস্টিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটতে পারে। এই নেটওয়ার্কের ফলে ডাউনলোডের গতি বেড়ে যাবে ১০ গুণ। স্পেক্ট্রাম এফিশিয়েন্সি বাড়তে পারে ৩ গুণ। তবে, এই সুবিধা লাভ করতে হলে গ্রাহকদের এর জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হতে পারে। তবে, এখনও পর্যন্ত এই পরিষেবার মূল্য অথবা কবে এটি লঞ্চ করতে পারে সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি।