লাগাতার কয়লা সঙ্কটের মধ্যে দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়তে চলেছে একাধিক রাজ্য, যার জেরে চরম ভোগান্তিতে গোটা ভারত। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মতন বেশ কয়েকটি রাজ্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে টানা ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এমনকি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছোট শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে বলেই খবর।
বিদ্যুৎ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য একটি জরুরি বৈঠক করেছেন এবং জাতীয় রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত কয়লার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দাদরি-২ এবং উনচাহার পাওয়ার স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার কারণে দিল্লি মেট্রো এবং দিল্লি সরকারি হাসপাতাল সহ অনেক প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে বিদ্যুতের চাহিদার ২৫-৩০ শতাংশ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে মেটানো হচ্ছে এবং কয়লার ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং রাজধানীর কিছু এলাকায় যাতে মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন না হয় সেজন্য সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও দেশ জুড়ে অতিরিক্ত গরম বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে। কোভিড পরবর্তী আবহে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতেও বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশপাশি, খনি থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা বহনের জন্য মালগাড়ির অভাবের কারণেও জটিলতা বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, আগামী ২৪ মে পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ১৬টি করে মেল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হচ্ছে। কয়লা সরবরাহকারী মালগাড়ি চলাচলকে অগ্রাধিকার দিতেই এই সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত দিল্লির কেজরীবাল সরকার আগেই জানিয়েছিল যে, এই ভাবে কয়লার ঘাটতি দেখা দিলে রাজধানীর হাসপাতাল এবং মেট্রোতে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দেবে।