টুইটার বায়ো থেকে কংগ্রেসের নাম সরিয়ে ফেলা কি দলবদলের লক্ষণ? তবে কি যত দিন যাচ্ছে কংগ্রেসের সঙ্গে হার্দিক প্যাটেলের দূরত্ব বাড়ছে? গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে কংগ্রেস ছেড়ে কি তবে বিজেপি-তে যোগ দেবেন পতিদার নেতা? হার্দিক প্যাটেলকে এখন এমনই কতগুলি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
গুজরাটে রাজনীতিমহলে এখন এই নিয়েই জল্পনা-কল্পনা চলছে। এই জল্পনায় স্বয়ং হার্দিক টুইটার প্রোফাইল থেকে দলের নাম মুছে ফেলায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে গুজরাট রাজনীতিতে। কী কারণে তিনি তাঁর টুইটার বায়ো থেকে কংগ্রেসের নাম সরিয়ে ফেললেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুধু টুইটার নয়, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম অ্য়াকাউন্ট থেকেও দলের নাম সরিয়ে ফেলেছেন পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল।
সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে হার্ডিকের হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে কংগ্রেসের প্রতীকের ছবি সরিয়ে তাঁর গলায় গেরুয়া উত্তরীয় দেখা গিয়েছিল। গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরা হার্দিকের ছবি সামনে আসতেই তাঁর বিজেপিতে যোগে দানের কথা শোনা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি একাধিক সভায় কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হার্দিক।
পতিদের নেতা হার্দিক প্যাটেল বলেছেন, ” কংগ্রেসে নরেশ প্যাটেলের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে যে ধরনের কথাবার্তা চলছে, তাতে গোটা সম্প্রদায়কে অপমানিত করা হচ্ছে। প্রায় দু’মাস ধরে এসব হচ্ছে। কেন এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না? নরেশ প্যাটেলকে নিয়ে কংগ্রেসের হাই কমান্ড ও স্থানীয় নেতৃত্বর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত”। ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পতিদার সংরক্ষণ নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে তাতে তাঁর দাবি, ” এরপর কী হল? ২০১৭ সালের পর কংগ্রেসের অনেকেরই মনে হয়ে যে, হার্দিককে যথাযথ ভাবে কাজে লাগানো হয়নি…।” হার্দিক আরও বলেন, ” রাহুল গান্ধী বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে হতাশ নই। কয়েকজন রাজ্যের নেতাকে নিয়ে বিরক্ত। আমি কেন বিরক্ত? সামনে নির্বাচন, আর এই সময় সকলকে মিলে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাঁদের সেই পদ দেওয়া উচিত। “
অন্যদিকে, হার্দিক প্যাটেলের গলায় যেমন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে ঠিক তেমনি সম্প্রতি পদ্ম শিবিরের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” আমাদের এটা মানতেই হবে যে, সম্প্রতি বিজেপি যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে, তা দেখে বলা যায় যে, তারা খুব ভালো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে…যদি কংগ্রেস নিজেকে আরও শক্তিশালী করতে চায়, তাহলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টিতে তাদের আরও জোর দেওয়া উচিত।” এতসব কাণ্ডের পরে হার্দিকের পাল্লা বিজেপির দিকেই ভারী বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল।