“সৌরভ রাজনীতিতে এলে ভালোই করবে”। সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন- দিদি তো অবশ্যই আমাদের কাছের। সৌরভ যা ভালো বুঝবে, তাই করবে। শনিবার কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে সৌরভ-জায়া ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এমন মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, স্বামী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়টি সম্পর্কে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে দিয়ে গেলেন। এদিন বাইপাসের ধারের একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সস্ত্রীক সৌরভ এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সৌরভ মূল্যবান বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, তিনি ওই বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁকে হতাশ করেননি। সেই বিষয়টিতেও যে ‘গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতি’ আপ্লুত তা গোপন করেননি সৌরভ। প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে শুক্রবার রাতে বিসিসিআই (BCCI)সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেহালার বীরেন রায় রোডের বাড়িতে নৈশভোজে এসেছিলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতারা। তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সস্ত্রীক গঙ্গোপাধ্যায়-দম্পতি তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসা করায় রানৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে- মহারাজ তাহলে হেলে রয়েছেন কোন দিকে?
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সৌরভ রাজনীতিতে আসছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। পরবর্তীতে, তিনি দু’বার চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি হওয়ায় রাজনীতির জল্পনায় ভাটা পড়ে। কিন্তু, শনিবার ডোনার মন্তব্য নিয়ে দুটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রথমত, অমিত শাহরা তাঁর বেহালার বাড়িতে আপ্যায়িত হলেও তিনি ও তাঁর পরিবার যে তৃণমূলের দিকেই ঝুঁকে রয়েছেন তা একরকম স্পষ্ট। দ্বিতীয়ত, যদি রাজনীতিতে নামতেই হয়, তবে পদ্ম নয়, জোড়া ফুলেই যে যাবেন তা গঙ্গোপাধ্যায়দের কথায় ভেসে উঠেছে। সৌরভ বলেছেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আমার খুব কাছের মানুষ”। সংগত কারণেই কোন দলের ভাগ্যে সৌরভের শিঁকে ছেড়ে, সেটাই এখন দেখার।