সন্ত্রাসবাদীরা কি জম্মু ও কাশ্মীরে পন্ডিতদের অস্তিত্ব বিলোপের চেষ্টায় সদা-তৎপর ! এমনই আতঙ্ক গ্রাস করেছে উত্তর ভারতের প্রান্তিক রাজ্যটিতে। জম্মু ও কাশ্মীরে ফের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত সমাজের এক ব্যক্তি। সোপিয়ানে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে সোপিয়ানের চৌধুরী বাগের দিকে যাওয়ার সময় স্থানীয় নাগরিক পুরাণ কৃষ্ণ ভাটের উপর জঙ্গিরা গুলি চালায়। তাঁকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন হত্যার দায় স্বীকার করেনি। পণ্ডিত সমাজের স্থানীয়রা এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য, নিরাপত্তা বাহিনী সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষায় ব্যর্থ।
জম্মু-কাশ্মীরের উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। তিনি টুইটে বলেছেন, ‘সোপিয়ানে পুরাণ কৃষ্ণ ভাটের উপর সন্ত্রাসীদের হামলা কাপুরুষোচিত কাজ। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি জনগণকে আশ্বস্ত করছি যে যারা অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের মদত ও সহায়তা করে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ তিন দিনের সফরে গিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দাবি করেন, উপত্যকাকে সন্ত্রাস মুক্ত করা সময়রে অপেক্ষা।
স্থানীয়দের দাবি, অতীতেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ইদানীং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের জন্মু-কাশ্মীরে যাতায়াত বেড়ে গিয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সম্পন্ন হয় তাঁদের সফর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় কিছু জায়গায় ইন্টারনেট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল। দিল্লির ইচ্ছা, কয়েক মাসের মধ্যে জন্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট করানো। কিন্তু সন্ত্রাসে কিছুতেই লাগাম পরোনা যাচ্ছে না। জম্মু ও কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্রমাগত টার্গেট করা হচ্ছে। এর আগে ১৬ আগস্ট সোপিয়ানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত সুনীল কুমার ভাট নিহত হন এবং তার ভাই পিন্টু গুরুতর আহত হন। তবে হিংসার পথকে ছেড়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকার শিক্ষিত মানুষেরা। নিন্দা করেছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল।
ব্যুরো নিউজ, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।