হিমাচল প্রদেশ আতঙ্কে ভুগছে খলিস্তানিদের জন্য। গতকাল অর্থাৎ রবিবার ধর্মশালায় অবস্থিত হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার দেওয়ালে এবং সদর দরজায় খলিস্তানিদের পতাকা এবং পোস্টার ঝুলতে দেখা যায়। এই নিয়ে চরম উত্তেজনা চলছে গতকাল সকাল থেকে, চলছে নানা বিতর্ক। উল্লেখ্য, এই ঘটনার খবর কানে যেতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সমস্ত সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুরু হয়েছে পুলিশি পাহারা এবং বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। এমনকি প্রস্তুত রাখা হয়েছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডও।
রাজ্যের পুলিশ দফতর সূত্রে খবর, বিশেষ সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে৷ পুলিশ সেখানে নাইট পেট্রলিং চালু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের নির্দেশে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে যে, পাঞ্জাব থেকে আসা কোনও পর্যটক এমন কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তবে, এটা পুরোটাই অনুমানের ভিত্তিতে বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে এর সঙ্গে কারা জড়িত।
উল্লেখ্য, এদিনের এই ঘটনায় চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তিনি এদিন বলেন, “এমন কাজ যদি করতেই হয়, তাহলে দিনের আলোয় করে দেখান। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে লুকিয়ে এমন কাজ কেন?” অন্যদিকে জানা গিয়েছে, আগামী ৬ জুন হিমাচল প্রদেশে খলিস্তানিপন্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই সভার ঘোষণা করেছে ভারতের নিষিদ্ধ সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস।
সূত্রের খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হিমাচল প্রদেশে এমন কিছু কার্যকলাপ চলছে, যার পেছনে খলিস্তানিদের হাত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার গতকালের এই ঘটনার পর থেকে বিশেষ ভাবে সতর্ক হয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এদিন জানান, “আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য যেমন- জম্মু কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, লাদাখ, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন জারি করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি নজর রাখছি। বৃন্দাবনওয়ালে এবং খলিস্তানি পোস্টার লাগানো গাড়িগুলি এই রাজ্যে যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সেই বিষয়ে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।”