মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরাখন্ড। শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ধেলা নদীতে পড়ে একসঙ্গে মৃত্যু হ’ল ন’জন পর্যটকের। যার মধ্যে গুরুতর অহত অবস্থায় রয়েছেন দু’জন। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের রামনগর এলাকায়। এমন ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রামনগর চত্বরে।
বিগত দু’দিন যাবৎ প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের ফলে ধেলা নদীতে স্রোতের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। শুক্রবার সকালে মোট এগারো জন পর্যটক একটি গাড়ি করে নৈনিতাল থেকে জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। ওই নদীতে কোনও সেতু না থাকায় নদীর মধ্য দিয়েই যাওয়ার চেষ্টা করছিল পর্যটক বোঝাই ওই গাড়িটি। গ্রামবাসী তাদের সতর্ক বার্তাও দিয়েছিল। কিন্তু তাদের কথা না শোনায় নিজেদের মৃত্যু নিজেরাই ডেকে আনলেন বলে প্রত্যক্ষর্শীরা জানান। নদীতে নামলে আচমকাই গাড়িটিকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে নদীর স্রোত। মৃত্যুর কবলে পড়ে যান তারা।
এই দৃশ্যটি স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসে পুলিশ-সহ দমকল বাহিনী। উদ্ধার কাজ শুরু করলে তারা এগারো জন পর্যটকের মধ্যে কেবল বাকি দু’জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। মৃত্যু হয় ন’জনের। আহত দুই পর্যটকদের মধ্যে ছিলেন এক যুবতী ও একটি শিশু। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা করা তাদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই পর্যটকেরা প্রত্যেকেই পাঞ্জবের বাসিন্দা। তাদের সম্পূর্ণ পরিচয় না পাওয়ায় পরিবারের লোককে খবর দেওয়া যায়নি। তবে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ যেনও দ্রুত মৃত সদস্যের পরিবারকে জানাতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিংহ ধামি মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
ব্যুরো নিউজ, নৈনিতাল, উত্তরাখণ্ড।