মোটর বাইক দুর্ঘটনায় আহত গুরুতর হয়েছিলেন আগেই, প্রত্যক্ষদর্শীরা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে তুলেও দিয়েছিলেন হাসপাতালের উদ্দেশে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছে চালক ও তার সহকর্মীরা কিছুতেই খুলতে পারেননি অ্যাম্বুলেন্স এর দরজা। সঙ্গত কারণেই অপচয় হয় মূল্যবান সময়। ক্রমাগত রক্তক্ষরণে নিস্তেজ হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ। শেষমেশ জানালার কাঁচ ভেঙে ভেতর দিয়ে ঢোকেন তারা। পরে দরজা খুলতে সক্ষম হলেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোঝিকোড় জেলার ফেরোক এলাকায়। নিহতের নাম কোয়ামন। বয়স ৬১ বছর।
এমন খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে সে রাজ্যের প্রশাসন। খবর কানে পৌঁছতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ।
কোয়ামনের পরিবার সূত্রে খবর- তিনি বাড়ি থেকে কাজে বেরিয়েছিলেন। ফেরার সময়ই মোটর বাইক দুর্ঘটনার মতন বিপত্তি ঘটে। পুলিশের অনুমান, সময়মতো এম্বুলেন্সের দরজা খুললে হয়তো মুমূর্ষু রোগীর রক্তক্ষরণ ঠেকানো যেত, তাতেই বেঁচে যেতে পারতেন ওই বৃদ্ধ।
নিষ্ঠুর নিয়তি আর কাকে বলে (!) মন্তব্য ফেরোক অঞ্চলের বাসিন্দাদের। কোয়ামনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তার পরিবার। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত করে তদন্তে নেমেছে।
টাইমস ফোর্টিন ব্যুরো, ফেরোক, কোঝিকড়, কেরল।