একটা দুটো নয়, পাঁচটি ৮ হাজার মিটার উচ্চতার শৃঙ্গের শিখর ছুঁয়ে ফেললেন পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সাতারার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা মোহাইত। মাত্র ৩০ বছর বয়সে আরোহণ করে ফেললেন পাঁচ পাঁচ খানা শৃঙ্গ। গতকাল, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ এবং আরোহণের দিক থেকে বিচার করলে সবচেয়ে কঠিন শৃঙ্গ নেপালের কাঞ্চনজঙ্ঘায় সফল ভাবে আরোহণ করে ইতিহাস তৈরি করে ফেললেন প্রিয়াঙ্কা।
তাঁর এই সাফল্যের কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশবাসী। পর্বতারোহণের তালিকায় এক অন্যতম নাম হয়ে উঠল প্রিয়াঙ্কা মোহাইত। উল্লেখ্য, এর আগে প্রিয়াঙ্কা মাউন্ট এভারেস্ট, লোৎসে, মাকালু, অন্নপূর্ণা প্রভৃতি শৃঙ্গগুলি ছুঁয়ে এসেছেন। গতকাল পঞ্চম শৃঙ্গ অর্থাৎ কাঞ্চনজঙ্ঘা ছোঁয়ার পর প্রিয়াঙ্কার নাম পাঁচটি ৮ হাজার মিটার শৃঙ্গ আরোহণের তালিকায় প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে জায়গা করে নিল।
সূত্রের খবর, গতকাল বিকেল ৪টা ৫২ মিনিটে ৮৫৮৬ মিটার উচ্চতার কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখরে পৌঁছান প্রিয়াঙ্কা। তাঁর আরোহণের খবর প্রথম এসে পৌঁছায় মহারাষ্ট্রের সাতারার বাড়িতে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৩ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ ৮৮৪৮ মিটার উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্ট ক্লাইম্ব করেন প্রিয়াঙ্কা। এর পর ২০১৬ সালে, ৮৪৮৫ মিটার উচ্চতার মাকালু এবং তার দু বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ তে ৮৫১৬ মিটার উচ্চতার লোৎসে শৃঙ্গ আরোহণ করেন তিনি। গত বছর এপ্রিল মাস নাগাদ আরোহণ করেন ৮০৯১ মিটার উচ্চতার অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ।
২০২০ সালে তেনজিং নোরগে অ্যাডভেঞ্চার সম্মান পান প্রিয়াঙ্কা মোহাইত৷ এবার ফের আরেক নতুন রেকর্ড গড়ে ফেললেন তিনি। অনেক ছোট বয়স থেকেই মাউন্টেনিয়ারিং করেছেন প্রিয়াঙ্কা। বলতে গেলে এটাই তাঁর নেশা। ছোটবেলাতেই অনেক বার ট্রেক করেছেন মহারাষ্ট্রের সহ্যাদ্রি রেঞ্জ। এর পরে উত্তরাখণ্ডে এবং হিমাচলের বেশ কিছু শৃঙ্গে অভিযান করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে আফ্রিকায় পৌঁছে যান প্রিয়াঙ্কা, সেখানে মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোও চড়েছেন তিনি। এবার পাঁচ খানা ৮ হাজার মিটার উচ্চতার শৃঙ্গ স্পর্শ করে নয়া রেকর্ড গড়ে ফেললেন তিনি।