আমূল পরিবর্তন প্যাসেঞ্জের ট্রেনে!

আরও পড়ুন

প্যাসেঞ্জার থেকে পুরোপুরি এক্সপ্রেস ট্রেন। আমূল পরিবর্তন ঘটল রেল পরিষেবায়। জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ১৬ টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন এখন এক্সপ্রেস ট্রেন। রেল পরিষেবায় এই আমূল পরিবর্তন ঘটায় কমল স্টপেজ এবং বাড়ল ট্রেনের গতি। সঙ্গে বাড়ল ভাড়াও। ফলে, যাতায়াতের জন্য অসুবিধায় পড়লেন খড়গপুর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোলের মানুষ।

সূত্রের খবর, প্যাসেঞ্জার ট্রেন এক্সপ্রেস ট্রেন হয়ে যাওয়ার ফলে সেই ভাড়া থেকে রেলের আয় বাড়বে। সঙ্গে বাড়বে ট্রেনের গতিও ৷ ফলে, একটি নির্দিষ্ট সেকশনে যত সংখ্যক ট্রেন চলে তার চেয়ে বেশি ট্রেন চালানো হবে। যদি কোনও একটি বিভাগে প্রতি ৬০ মিনিট অন্তর ট্রেন চলে এক্সপ্রেস ট্রেন হলে তা প্রতি ৬০ মিনিটের বদলে প্রতি ৫০ মিনিট অন্তর ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।

ভারতীয় রেলের যাত্রীবাহী ট্রেন অপেক্ষা পণ্যবাহী ট্রেন চালানোয় বেশি লাভ হয়। ফলে যত সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রেন চালানো যাবে, তত অর্থনৈতিক লাভ হবে রেলের। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কেএস আনন্দ জানিয়েছেন, “আমরা স্টিল প্ল্যান্ট, থার্মাল প্ল্যান্টে কয়লা, লৌহ আকরিক প্রভৃতি সরবরাহ করি৷ ফলে অবশ্যই বেশি সংখ্যক ট্রেন চালাতে পারলে সুবিধা হবে”।

অন্যদিকে, কয়লার পরিমান কমতে থাকার ফলে দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে যথাযথ ভাবে কয়লার জোগান দেওয়ার জন্য প্রচুর ট্রেন চালানো হচ্ছে। এই সময়ের ব্যবধানে সেই ট্রেনও চালানো যাবে। দক্ষিণ পূর্ব রেল পরিষদকে এই পরিবর্তনের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা বলে, “গোটাটাই রেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত”।

সূত্রের খবর, আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ট্রেন হয়ে গেল আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি এক্সপ্রেস, হাওড়া-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেন হয়ে গেল হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস। এ ছাড়াও খড়গপুর থেকে গোমো, খড়গপুর থেকে হাতিয়া, খড়গপুর থেকে গোমো প্যাসেঞ্জার ট্রেন হয়ে গেল এক্সপ্রেস ট্রেন। একাধিক প্যাসেঞ্জার ট্রেনের এ ভাবে এক্সপ্রেস ট্রেন হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বহুসংখ্যক যাত্রী। এর প্রধান কারণ হ’ল ভাড়া বেড়ে যাওয়া। যেখানে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের নূন্যতম ভাড়া ছিল ১০ টাকা সেখানে এক্সপ্রেস ট্রেন হওয়ায় সেই ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close