রেল মন্ত্রককে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস থাকলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা হ’ত না। বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬৩ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় পর পর দুটি রেলগাড়ি ও একটি মালগাড়ির সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই রীতিমতো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়ে যায় এলাকাজুড়ে। এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদেরকে দেখতে হেলিকপ্টারে করে বালেশ্বরের হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছে তিনি বলেন, অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস থাকলে এমন দুর্ঘটনা হ’ত না। এছাড়াও তিনি যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন সাংবাদিকদের সামনে। তিনি আরও জানিয়েছেন, রেলনন্ত্রককে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। রেল দুর্ঘটনা এড়াতে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস সিস্টেম চালু করেছিলেন। কিন্তু এই ঘটনায় সেই অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস সিস্টেম ছিল না। এই সিস্টেম চালু থাকলে এত সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারাতো না। এড়ানো যেত এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
রেল দুর্ঘটনায় বাংলায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুতরভাবে আহতদের ১ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছেন।
ফোর্টিন টাইমলাইম, ওড়িশা।