দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বই থেকে দুর্গাপুরগামী বিমানটি মাঝপথে অবতরণ করানো ছাড়া কোনও বিকল্প পথ খোলা ছিল না বিমান চালকের কাছে। কারন, ঝড়ের কবলে পরল বিমান। এই নিয়ে ঘটনাটি দ্বিতীয় দিন ঘটে। শনিবার দিল্লি-কলকাতা বিমান দুর্যোগ হওয়ার পর পুনরায় মুম্বই-দুর্গাপুর বিমানে একইরকম ঘটনা দেখা গেল। পূর্বের ঘটনার মতই আবারও ভয়ঙ্কর ঝাঁকুনিতে হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা হল যাত্রীদের।
পর পর দু’দিন বিমান যাত্রীদের মেরুদন্ড বেয়ে শীতল স্রোত নেমে যাওয়ায় একই রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন যাত্রীরা। দুটি ঘটনাতেই বড়-সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বিমান যাত্রীরা।
আবহাওয়া খারাপ থাকার কারনে ২ দিনের ঝড়-বৃষ্টির জেরে অতিরিক্ত গরম থেকে রেহাই পাওয়া গেলেও বিমানযাত্রীদেরকে কয়েকটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এদিন মুম্বই-দুর্গাপুর বিমান যাত্রীদের বক্তব্য, ঝড়ের জন্য তারা মাঝ আকাশে তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেন। তবে জানা গেছে, কারও বড় কোনও বিপদ হয়নি। বিমানটি নিরাপদেই শেষ পর্যন্ত অন্ডাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেই ঝাঁকুনির আতঙ্কে বিমানযাত্রীরা বিমানের অভ্যন্তরে চিৎকার জুড়ে দেন। পরবর্তীতে, বিমানটি নিরাপদেই অন্ডাল বিমান বন্দরে অবতরণ করলে যাত্রীদের আর্তনাদ থেমে যায়, স্বস্তির স্বাস ফেলেছেন তারা।
বিশেষজ্ঞমহলের খবর, বায়ুর চঞ্চলতার কারনে মাঝ আকাশে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল। এক্ষেত্রে অবশ্য পাইলটের দক্ষতার প্রশংসা অনেকেই করছেন। এমন ঝড়়-বৃষ্টিতে এয়ার টার্বুল্যান্স স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও অনেক সময় এর ফলে বড়-সড় বিপদও ঘটতে পারে। কিন্তু, এদিন অবশ্য তেমন বড় কোনো বিপদ হয়নি।
কার্যত, এয়ার টার্বুলেন্সের কারনে অনেক যাত্রীই আতঙ্কে ছিলেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও খবর। তবে কারও গুরুতরভাবে আঘাত লাগেনি। মাঝ আকাশে এমন ঝাঁকুনি যাত্রীদের মধ্যে আগে কেউই অনুভব করেননি। এই ঘটনার ফলে প্রায় সবাই বড় বিপদের আশঙ্কায় আতঙ্কিত ছিলেন।
দ্রুতগতির যুগে এয়ারবাস ছাড়া যাত্রী চলাচল যেমন অসম্ভব ঠিক তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিকে মাথায় রেখেই একস্থান থেকে অন্যত্র ভ্রমণ করতেই হবে মানুষকে। তবে, পর পর দু’বার খারাপ আবহাওয়ার কারনে যেসমস্ত যাত্রীরা ওই দুটি বিমানে চড়েছিলেন, তাদের কেউ কেউ বেশ কদিন বিমান চড়া থেকে বিরত থাকবেন বলেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।