ওড়িশার বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনার নেপথ্যেও ছিল সিগন্যালিং ফল্ট (!) সিগন্যাল ত্রুটিই অনুমান করছে ভারতীয় রেল। শনিবার সকাল থেকে বালেশ্বর রেল স্টেশনে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মূল কারন জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি যৌথ পরিদর্শন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। তাদের তথ্য অনুযায়ী, আহতের সংখ্যা ৬৫০-এর বেশি। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেই দাবি রেল সূত্রে। এখন চলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ। তবে তুবড়ে যাওয়া রেলের বগি সরিয়ে, লাইন সারিয়ে আবার কবে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। দক্ষিণ ভারতগামী বহু রেলগাড়ি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
বালেশ্বরের রেলগাড়ি দুর্ঘটনার বিষয়টি যাই হোক না কেনও গাইসাল কান্ডের মতোই সিগনালিং ফল্টকেই যে সর্বাগ্রে রাখছেন তদন্তকারী ইঞ্জিনিয়াররা, তা একরকম পরিষ্কার। একই রেললাইনে দুটি রেলগাড়ি গিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলেই গাইসাল ট্রেন এক্সিডেন্ট হয়েছিল। বালেশ্বর কান্ড নিয়ে একই ভাবনা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। যদি বিষয়টি শেষমেশ তাই-ই হয়, সেক্ষেত্রে ভারতীয় রেল দফতর যে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার না করা থেকে বিরত থাকছে তা সমালোচনায় উঠে এসেছে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, বালেশ্বর, ওড়িশা।