সোমবার ২৩ মে দিল্লির নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হলেন বিনয় কুমার সাক্সেনা। ব্যক্তিগত কারণে অনিল বৈজল গত পাঁচ দিন আগে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর পদত্যাগের পাঁচ দিন পরেই বিনয় কুমার সাক্সেনাকে নয়া লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। উল্লেখ্য, এতদিন বিনয় কুমার সাক্সেনা কেন্দ্রীয় মাঝারি, ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প উদ্যোগ মন্ত্রকের অধীনে থাকা খাদি এবং গ্রামীণ শিল্প কমিশনের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।
গত ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর তিনি খাদি এবং গ্রামীণ শিল্প কমিশনের চেয়ারম্যান পদে যোগ দেন। এদিন, রাষ্ট্রপতির সচিব একটি বিবৃতি জারি করে জানান, “লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিনয় কুমার সাক্সেনা তাঁর অফিসের দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হবেন।” এবার দিল্লির ২২ তম লেফটেন্যান্ট গভর্নর হতে চলেছেন বিনয় কুমার সাক্সেনা।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অনিল বৈজল। এর আগে নাজিব জং এই পদ থেকে হঠাৎই ইস্তফা দেন, তারপর গত ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অনিল বৈজল এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘ ৫ বছর ৪ মাস এই পদে নিযুক্ত ছিলেন। এর আগে নানা বিষয় নিয়ে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের সঙ্গে বিবাদে জড়ান অনিল। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বারবার অভিযোগ করেছিলেন, লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে দিয়েই দিল্লির সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
তবে, গত ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ জারি করে যে, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই। শুধুমাত্র জমি, পুলিশ এবং জনশৃঙ্খলার বিষয় ছাড়া আর কোনও ব্যাপারেই তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না। সরকারের হাতেই রয়েছে রাজ্য শাসনের আসল ক্ষমতা। এসবের পরেও অনিল বৈজল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের নানা পদক্ষেপ গ্রহণের বিরোধিতা করেছেন একাধিক বার। পাশাপাশি, অনিল বৈজলকেও এই নিয়ে নানা আক্রমণাত্মক কথা শুনতে হয়েছে আপের নেতাদের থেকে। এবার নয়া লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে বিনয় কুমার সাক্সেনা কতটা মানিয়ে গুছিয়ে চলতে পারেন সেটাই দেখার।