বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রকাশ্যে ঘটনার নিন্দা করে উত্তর দিল্লির মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে দায়ী করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বুলডোজ করতে চাই না। আমরা জনগণকে বিভক্ত করতে চাই না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকলে অনেক ভালো হবে। কিন্তু আপনি যদি ভাগ হয়ে যান তাহলে নতুন করে সমস্যা তৈরি করবে।’ আগেই দলের পক্ষ থেকে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার ঘটনার উদ্দেশ্যে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল। 
অপরদিকে, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য দিল্লিতে তৃণমূলর বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির আদলে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে। দলে রয়েছেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দোস্তিদার, সুখেন্দু শেখর রায়,ডেরেক ওব্রায়েন এবং মহুয়া মৈত্র। সূত্রের খবর, জাহাঙ্গিরপুরীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা তৃণমূল নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবেন । যদিও আগেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।অভিযোগ আছে, দলের পক্ষ থেকে সংখ্যলঘুদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে।
হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকাও।এছাড়াও, বুধবার জাহাঙ্গিরপুরীতে অবৈধ নির্মাণকাজ ভাঙতে উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্দেশে ৯টি বুল্ডোজার পাঠানো হয়। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞার কপি হাতে নিয়ে সেই কাজ থামিয়ে দেওয়া হয় সিপিএম(CPM) নেত্রী বৃন্দদের দ্বারা। 
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গিরপুরীর সেই অবৈধ নির্মাণ কাজ ভাঙাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বিতীয় দফায় শুনানি কার্যকর হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আপাতত নির্মাণ কাজ না ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, পরবর্তী শুনানি দুই সপ্তাহ পরে হবে বলেও জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মহানাগরিককে তথ্য দেওয়ার পর তাঁরা নির্মাণ কাজ ভাঙার বিষয় গুরুতর দৃষ্টিভঙ্গি নেবেন।
জানা যায়, শুক্রবারই দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। তাঁরা এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে সূত্রের খবর। তারপরই উত্তপ্ত এলাকা সম্পর্কে জানানো হবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে।