সাইবার ক্রাইমের মাত্রা এত পরিমানে বেড়ে গেছে যে স্বয়ং পলিশকর্তারাও এই ক্রাইমের ফাঁদে পরে যাচ্ছেন। জলপাইগুড়ি সাইবার থানার ডিএসপি সমীর পালের নামে চারটি ভুয়ো একাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। এবিষয়টি জানতে পেরেই পুলিশ কর্তার মাথায় হাত পড়েছে।
সূত্রের খবর, ডেপুটি পুলিশ সুপার ফেসবুক করেনই না। কিন্তু তার নামেই চার-চারটি ভুয়ো ফেসবুক একাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখান থেকে আবার মেয়েদের কাছে চ্যাট রিকুয়েস্টও গেছে । বিষয়টা জানতে পেরেই মাথায় হাত পড়েছে সেই পুলিশ কর্তার। তিনি কোনোদিনও ফেসবুক করেননি, এদিকে তাঁকেই টার্গেট বানিয়ে ফেলেছে হ্যাকাররা। জলপাইগুড়ি সাইবার থানায় এই খবর শুনেই হৈ হৈ পড়ে গেছে। সাইবার অপরাধীদের ধরতে উঠেপড়ে লেগেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ডিএসপি সমীর পাল আক্ষেপ করে বলেছেন, তাঁকে ফাঁসানোর জন্যই যত চক্রান্ত। তিনি বলেন, সোমবার সকালে কোচবিহার, রায়গঞ্জ প্রভৃতি জায়গা থেকে তাঁর পরিচিতরা ফোন করে জানান, যে তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট চলছে। সেইসব ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে আবার নানান জনের কাছে মেসেজ যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, পুলিশ কর্তার নামে চলা একটি অ্যাকাউন্ট থেকে নাকি আসবাবপত্র বিক্রির বিজ্ঞাপন গেছে। অন্য একটি অ্যাকাউন্ট শুধু মেয়েদের সঙ্গে চ্যাট করার জন্য খোলা হয়েছে। সেখানে নাকি অশ্লীল ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। এইসব শুনেই হতভম্ব হয়ে গেছেন ডিএসপি সমীর পাল। কারণ তাঁর নিজস্ব কোনও ফেসবুক অ্যাকাউন্টই নেই। তাহলে কীভাবে হ্যাকাররা তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য জোগাড় করে এভাবে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলল তা বুঝতেই পারছেন না তিনি। সাইবার থানার দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশ অফিসার।
প্রসঙ্গত, সমীর পাল একসময় রায়গঞ্জ থানার আই সি পদে কর্মরত ছিলেন। সেই কারণেই তার বেশ কিছু সহকর্মী, বন্ধু এবং আত্মীয় পরিজন আছেন রায়গঞ্জ।
ফোর্টিন টাইমলাইন, জলপাইগুড়ি।