Jhargram : স্বামীর চিতাস্থলে আত্মঘাতী স্ত্রী

আরও পড়ুন

দাহ-প্রথা রাজা রামমোহন রায় বহু আগেই তুলে দিয়েছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর শ্মশানে পৌঁছে আত্মঘাতী হলেন মহিলা। রবিবার ভোরে স্বামীর চিতাস্থলে মিলল মহিলার মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের জামবনির দর্পশিলা গ্রামে। মৃতা ওই মহিলার নাম নিয়তি ষণ্ড। তার বয়স ৩৭ বছর। সূত্রের খবর, স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন নিয়তিদেবী।

পরিবার সূত্রের খবর, নিয়তির স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে তার স্বামী মারা যান। এরপর থেকেই নিয়তিদেবী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানান পরিবারে বাকি সদস্যরা। অন্যদিকে ওই মহিলা নি:সন্তানও ছিলেন। যার ফলে একাকিত্ব গ্রাস করেছিল নিয়তিদেবীকে। সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাতে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান নিয়তিদেবী। তিনি কখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পরিবারের বাকি সদস্যরা। এরপরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে স্বামীর চিতাস্থলের উদ্দেশে ছুটে যান তিনি। এমন দৃশ্য দেখে রীতিমতো শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

স্থানীয়রা তড়িঘড়ি নিয়তিদেবীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, স্বামীর মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা (!) মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠনো হয়। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার উত্তম ঘোষ বলেন-একটি আস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলেছে।

নিয়তির ছোট দেওর বনমালী ষণ্ড জানান- দাদার মৃত্যুর পর থেকেই বৌদি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট মনোবিদ দীপঙ্কর পাল বলেন- স্বামীর মৃত্যুজনিত অনিশ্চয়তা এবং একাকিত্ব হয়তো তাকে এইভাবে আত্মহননের পথে চালিত করেছে।

ফোর্টিন টাইমলাইন, জামবনি, ঝাড়গ্রাম।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close