ন্যায্য মূল্যে সব্জি বিক্রি না হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের ফতেপুর হাটের সব্জি চাষীরা রাস্তায় সব্জি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। বালুরাঘাট-রায়গঞ্জ রাজ্য সড়ক অবরোধ হওয়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশী আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার হয়।
সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকে প্রচুর পরিমানে লঙ্কা, পটল, শসা উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত ফসল কালিয়াগঞ্জের বড় হাট ধনকৈল হাটে বিক্রি হয়। এখানকার উৎপাদিত ফসল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়। সবজী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গাড়ি করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই সব্জি পাঠাতে গেলে পুলিশ রাস্তায় আটকে কেস দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিচ্ছে। এমনকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সিভিকদের টাকা দিতে হচ্ছে। যার ফলে সব্জির দাম কয়েকগুন বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাজারে ফসলের দাম সেই পরিমান না হওয়ায় সব্জি ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। জেলা জুড়ে পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে আজ কালিয়াগঞ্জের গাড়ি মালিকরা সব্জি ভাড়া দিতে রাজী না হাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সব্জি কিনতে রাজী হন নি। ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা সব্জি চাষিরা ফতেপুর হাটে সব্জি নিয়ে এলেও ক্রেতা না থাকায় সেই সব্জি অবিক্রিত অবস্থায় থেকে যায়। কৃষকরা সব্জি বিক্রি করতে না পারার প্রতিবাদে রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়কে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল পটল, শসা, লঙ্কা রাস্তায় ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ফসল রফতানিতে পুলিশী অত্যাচার যাতে না হয় সে ব্যাপারে তিনি জেলা পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন। এই আশ্বাসের পর গাড়ি মালিকরা পণ্য পরিবহনে গাড়ি দিতে রাজী হন। পণ্য পরিবহনের গাড়ি পাওয়ার পরই কৃষকদের ফসল বিক্রি হতে শুরু করে।