Uttar Dinajpur : প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় বিদায় সর্ম্বধনা

আরও পড়ুন

কালিয়াগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় বিদায় সর্ম্বধনা দিল গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও অভিভাবকেরা। নজীরবিহীন সর্ম্বধনা পেয়ে অবিভূত অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে রাজ্য জুড়ে বহু শিক্ষকের চাকরি গেছে। টাকার বিনিময়ে শিক্ষকদের চাকরি যাওয়ায় শিক্ষকদের মান তলানীতে এসে ঠেকেছে। শিক্ষকদের মান যখন তলানীতে পৌঁছেছে ঠিক তখনই একজন প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় বিদায় সর্ম্বধনা জানানো হল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তড়িৎ বিকাশ ভদ্র গত ৩১ জানুয়ারি চাকরি জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। তড়িৎবাবুর বাড়ি কালিয়াগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি এলাকায়।

সূত্রের খবর, রবিবার ছাত্র, শিক্ষক-সহ,অভিভাবকেরা তাকে বিদায় সর্ম্বধনা দেন। গ্রামবাসী, ছাত্র এবং অভিভাবকেরা প্রাক্তন প্রধান শিক্ষককে সর্ম্বধনা দেওয়ার পর তাকে মিছিল করে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসেন। দেখে মনে হবে কোনও রাজনৈতিক দলের মিছিল কিংবা অন্যকোনও অনুষ্ঠানের মিছিল। সারিবদ্ধ ভাবে ৮ থেকে ৮০ বছরের গ্রামের মহিলা ও পুরুষদের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের গ্রামের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মিছিল করে ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে ও উলু ধ্বনি দিতে দিতে বাড়িতে পৌঁছে দিল। এমনি চিত্র দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ শহরের কালীবাড়িতে। তিনি গ্রামের মানুষদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অতিপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন। গত জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখে অবসর গ্রহণ করেছেন। রবিবার বিদ্যালয়ে ছিল তাঁর বিদায় সম্বর্ধনা। এদিন বিদ্যালয়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে মধ্য দিয়ে প্রধান শিক্ষক তড়িৎ বিকাশ ভদ্রকে বিদায় জানানো হয়। এরপর গ্রামবাসীরা ও স্কুলের অন্যান শিক্ষকেরা একত্রিত তাদের প্রিয় শিক্ষক তড়িৎ বিকাশ ভদ্রকে ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কালিয়াগঞ্জ শহরে কালীবাড়ি সংলগ্ন নিজস্ব বাড়িতে পৌছে দেন। গ্রামবাসী ও তার সহকর্মীদের কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পেয়ে আবেগে ভেসে যান তিনি।

তড়িৎবাবু বলেন, এই ধরনের ভালোবাসা পাবো ভাবতে পারিনি। তিনি খুব খুশি এবং অবসর নিলেও তার স্কুলের প্রতি একটুও ভালোবাসা কমবে না। ২০২৩ সালে একজন শিক্ষক এধরনের সর্ম্বধনা পাবে এটা ভাবাই যায় না।

পাশাপাশি এক গ্রামবাসী জানান, তারা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তড়িৎবাবুকে অসম্ভব ভাল বাসতেন। ছাত্রদের প্রতি তার অসম্ভব স্নেহ ছিল। ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে না এলে খোঁজ নিতে বাড়িতে পৌঁছে যেতেন।অকারনে স্কুল কামাই করলে ছাত্রদের স্কুলে নিয়ে যেতেন। তার কর্মকান্ডে এলাকার মানুষের অন্তরে পৌঁছে গেছেন।

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close