Uttar Dinajpur : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের তালিকা তৈরিতে গিয়ে ঘেরাও আশা কর্মীরা

আরও পড়ুন

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায় নাম না থাকার অভিযোগে বঞ্চিত গ্রামবাসীরা সার্ভের দায়িত্বপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং আশা কর্মীকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে পুলিশ এবং সিডিপিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটক ব্যাক্তিদের উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুররের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের পশ্চিম গগরা গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি সঠিক, যারাই সার্ভে করেছেন প্রকৃত উপভোক্তাদের তালিকায় রাখা হয়নি।

সূত্রের খবর, কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম গগরা গ্রামে প্রথম পর্যায়ে সার্ভে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ১৮৭টি উপভোক্তার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে সার্ভে সেই নাম কমে হয় ১৫২ জনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তৃতীয় পর্যায়ে আশা এবং অঙ্গনওয়ারী কর্মীরা সার্ভে করে ৮৭ জনকে তালিকাভুক্ত করেছেন। যে ৮৬ জনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই পাকা বাড়ি রয়েছে। তারা আর্থিক দিক থেকেও সচ্ছল। কিন্তু যাদের তালিকা থেকে বাতিল করা হয়েছে তারা প্রকৃত অর্থে দুঃস্থ, মাথা গোঁজার ঠাই টুকু নেই। বৃহস্পতিবার পশ্চিম গগরা গ্রামে আশা এবং অঙ্গনওয়ারী কর্মীরা সার্ভে করার সময় তাদের কাছে তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার কারন জানতে চান বঞ্চিত গ্রামবাসীরা। আশা কর্মী এক মহিলাকে মারতে উদ্যত হন। প্রতিবাদে বঞ্চিত গ্রামবাসীরা তাদের আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ এবং কালিয়াগঞ্জ আই সি ডি এসের প্রকল্প আধিকারিক কৃতি কুন্ডু। তাদের মধ্যস্থতায় দুই কর্মী ঘেরাও মুক্ত হন।

আন্দোলনকারী রমজান আলি জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে যতবার সার্ভে হচ্ছে ততবার উপভোক্তার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কি ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি হল তার কারন জানতে চান। যে ৮৬ জনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ বাসিন্দারা আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল। তাদের পাকা বাড়িও আছে। উল্টো দিকে যারা দুঃস্থ অসহায়, মাথা গোঁজার ঠাইটুকু নেই, তাদের নাম তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়নি। অবিলম্বে এই তালিকা বাতিল করে প্রকৃত উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির দাবি করেছেন।

সিডিপিও কৃতি কুন্ডু জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে প্রকৃত উপভোক্তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্ত করে দেখলেন। যে সমস্ত উপভোক্তাদের বাড়ি সরোজমিনে তদন্ত করলেন তারা প্রকৃতই ঘর পাওয়ার যোগ্য। উপভোক্তাদের বিডিওর কাছে লিখিত আবেদন করতে বলা হয়েছে।

রোজমা খাতুন নামে এক মহিলা জানিয়েছেন, আশা কর্মীরা সার্ভে করার পরই তাদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। আশা কর্মীর কাছে বাদ যাওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি তাকে মারতে উদ্যত হন। কেনo তাকে তালিকা থেকে বাতিল করা হল তার কারন জানতে চান।

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close