এখন থেকে কন্যাশ্রীর মতো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্যও সারা বছর আবেদন গ্রহণ ও নাম নথি ভুক্তির কাজ চলবে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। ২৫ বছর বয়স হলেই রাজ্যের যে কোনও মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম তোলার জন্য এতদিন দুয়ারে সরকার কর্মসূচির জন্য মহিলাদের অপেক্ষা করতে হ’ত। কিন্তু এবার থেকে সেই অপেক্ষা আর থাকছে না। সাধারণ মানুষকে আরও সুবিধে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সারা বছরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মর্মে দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই এক বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা নিকটবর্তী বিডিও অফিসে গিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন এবং পূরণ করে সেখানেই জমা দিতে পারবেন। শহুরাঞ্চলের বাসিন্দারা মহকুমা শাসকের অফিসে গিয়ে এই কাজ করতে পারবেন। কলকাতার ক্ষেত্রে পুরসভার বিভিন্ন দফতরে এই পরিষেবা মিলবে। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে তপসিলি জাতি, উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে এবং বাকি মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে পান। বর্তমানে রাজ্যের ১ কোটি ৯৮ লক্ষের বেশি মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। সাম্প্রতিককালে দুয়ারে সরকার শিবিরে জমা পরা আবেদনের ভিত্তিতে আরও ৯ লক্ষেরও বেশি মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে চলেছেন। তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে রাজ্য সরকারের প্রতি মাসে আনুমানিক দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে।
কলকাতা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।