স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী স্বামী। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গরফা থানা এলাকায়। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।
সূত্রের খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বয়স ৪৭ বছর। তিনি পেশায় এক ব্যাঙ্ককর্মী। কাজেরসূত্রে তিনি তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে গুজরাতের আহমেদাবাদে থাকতেন। কিছু মাস আগেই তাকে কলকাতায় বদলি হয়ে আসতে হয়। কলকাতায় এসে গরফার পূর্বাচল মেন রোডের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন প্রসূনবাবু। আহমেদাবাদেই রয়েছেন তার স্ত্রী ও দুই কন্যা। রবিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় গলায় ফাঁস লাগাতে যান তিনি। তা দেখেই তড়িঘড়ি থানায় খবর দেন তার স্ত্রী অপর্ণাদেবী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গরফা থানার পুলিশ। তারা এসে প্রসূনবাবুর ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে সেখান থেকে হাসাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্মরত চিকিৎসকেরা তাকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, প্রতিদিনের মতোই সেইদিনও তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রসূনবাবুর ভিডিও কলে কথা চলছিল। তখনই তার সঙ্গে মতানৈক্য হয়, অনুমান তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের। এরপরই অপর্ণাদেবীকে আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকেন তিনি। তার স্ত্রীর অভিযোগ, তিনি নাকি বিবাহ-বহির্ভুত এক সম্পর্কের মধ্যে জড়িয়ে রয়েছেন প্রসূনবাবু। এমনকি, তার স্ত্রীকে তিনি একটি সুইসাইড নোটও হোয়াট্সঅ্যাপে পাঠিয়েছিলেন। এর মাঝে আচমকাই সিলিংয়ের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন তিনি। এই ঘটনার জেরে অস্বাভাবিক ঘটনার মামলা রুজু করা হয়। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। টেলিফোনেই নিহত ওই ব্যাঙ্ককর্মীর স্ত্রী অপর্ণাদেবীর সঙ্গে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সেড়ে রেখেছে পালিয়ে। এরপর ত্রিকোণ প্রেম নিয়ে অত্যন্ত সন্তর্পনে এগোতে চাইছে পুলিশ আধিকারিকেরা।
ফোর্টিন টাইমলাইন, কলকাতা।